আদমদীঘি (বগুড়া) :৭০ বছরের বৃদ্ধা ফাতেমা বেগম। ভুল ট্রেনের যাত্রী হয়ে বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে সাত দিন ধরে আট'কা পড়েছেন। তাঁর বাড়ি যশোর জেলা শহরের শংগরপুর গোলপাতা মসজিদের পাশে। স্বামী মৃ'ত শেখ খলিল মিয়া। তার তিন মেয়ে ও এক ছেলে। ছেলে দেলোয়ার হোসেন ভাঙারি ব্যবসা করেন। পরিবারের ঠিকানা বলতে পারলেও স্বজনদের কোনো মোবাইল নম্বর বলতে পারছেন না। বাড়ি ফেরার জন্য তিনি মাঝেমধ্যে কা'ন্নাকা'টি করছেন। এমতাবস্থায় সান্তাহার পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু মঙ্গলবার সকালে সান্তাহার স্টেশন থেকে তাকে নিয়ে পৌরসভার একটি ঘরে রেখেছেন। তার দেখভালের জন্য এক পিয়নকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ফাতেমা বেগম বলেন, সপ্তাহখানেক আগে তিনি চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এক আত্মীয়র বাড়িতে উঠেছিলেন। গত ২৫ মার্চ ওই আত্মীয়র সঙ্গে কমলাপুর স্টেশনে এসে বাড়ি ফেরার সময় ভুলক্রমে যশোরের ট্রেনে না উঠে উত্তরাঞ্চলের ট্রেনে ওঠেন। এরপর ওই দিন সন্ধ্যায় সান্তাহার স্টেশনে আবারও ভুল করে নেমে যান। করোনার প্রভাবে ২৬ তারিখ থেকে গণপরিবহন বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে তিনি আর কোথাও যেতে না পেরে সান্তাহার স্টেশনে অপেক্ষা করেন। একসময় ভ'য় পেয়ে কা'ন্নাকা'টি শুরু করেন। পরে সান্তাহার রেল স্টেশনের টিকেট কাউন্টারে তার আশ্রয় মেলে।
সান্তাহার পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু বলেন, বৃদ্ধ মহিলা সান্তাহার স্টেশনে কা'ন্নাকা'টি করছিল। পরে সংবাদ পেয়ে রেল স্টেশনের টিকেট কাউন্টারে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। মঙ্গলবার সান্তাহার স্টেশন থেকে নিয়ে পৌরসভার একটি ঘরে রাখা হয়েছে। তাকে দেখভালের জন্য পৌরসভার এক পিয়নকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, তাকে ফিরিয়ে দিতে কয়েক জায়গায় যোগাযোগ করেছিলাম। তবে আমার সঙ্গে এখনো কেউ যোগাযোগ করেনি। বৃদ্ধ মহিলা বলছেন, ট্রেনে উঠিয়ে দিলে তিনি যেতে পারবেন। কিন্তু কোনো পরিবহন তো চলছে না। এ ছাড়া তাকে একা ছেড়ে দেওয়াও ঠিক হবে না। তাকে ফিরে পেতে (তুহিন : ০১৭২৪-৮৬১৪৩২) এবং (মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু : ০১৭১১-৮৩৪১৩৩) এই ফোন নম্বরে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।