বগুড়া থেকে : বগুড়ার নন্দীগ্রামের শিশু সিনথিয়া ইসলাম (১১)। বাড়িতে চিকিৎসা নিয়েই করোনা জয় করল সিনথিয়া। পরপর দুটি নমুনা পরীক্ষায় করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি তার শরীরে। পাশাপাশি তার পরিবারের অন্য সদস্যদের শরীরেও করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলেনি।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তোফাজ্জল হোসেন মন্ডল এ তথ্য নি'শ্চিত করেছেন। জানা গেছে, গত ২২ এপ্রিল করোনা শনা'ক্ত হওয়ার পর থেকে বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিল সিনথিয়া ইসলাম। তৃতীয় দফায় তার নমুনা পরীক্ষার ফল নেগে'টিভ পাওয়া যায়। শিশু সিনথিয়া নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বিজরুল গ্রামের আমিনুল ইসলাম মামুনের মেয়ে।
চিকিৎসা গ্রহণ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাইলে করোনা পজিটিভ থেকে নেগেটিভে আসার বর্ণনা দেন শিশুটির বাবা আমিনুল ইসলাম মামুন। তিনি বলেন, শিশু সিনথিয়াকে করোনা আ'ক্রা'ন্ত বিষয়ে বুঝতে দেয় নাই। পুরো সময়টুকু মনোবল শ'ক্ত রেখেছিলাম। করোনাকে জয় করতে পারব এমন আত্মবিশ্বাস ছিল। পরিবারের লোকজন কিছুটা দু'শ্চি'ন্তায় ছিল। তারপরেও সা'হস হারায়নি।
কিভাবে তিনি সুস্থ হলেন এমন প্রশ্নের জবাবে শিশুর বাবা আমিনুল ইসলাম জানান, গত ১৮ এপ্রিল বিজরুল গ্রামের বাড়িতে পরিবারসহ আছেন। শিশুর কোনো শারীরিক সম'স্যা ছিল না। তবে ঢাকাফেরত খবর পেয়ে গত ২১ এপ্রিল উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা সত'র্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ওই দিন তার নমুনা সংগ্রহ করে বগুড়ায় পাঠানো হয়। আর তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়। পরে ২২ এপ্রিল রাতে তার নমুনা রিপো'র্ট পজিটিভ আসার খবর পাওয়া যায়।
তারপরে চিকিৎসকের পরামর্শে পর্যাপ্ত পরিমাণে হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে ঘনঘন গারগিল করানো হয়েছে। কিছুক্ষণ পর পর হালকা গরম পানি পানসহ নিয়মিত চা খাওয়ানো হয়েছে। তবে কোনো ওষুধ সেবন করা হয়নি। করোনামুক্ত হওয়ার জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ, প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মেয়ের বাবা আমিনুল ইসলাম।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তোফাজ্জল হোসেন মন্ডল বলেন, তৃতীয় দফায় শিশুর নমুনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ পাওয়া গেছে। শিশু সিনথিয়া এখন করোনা ভাইরাস মুক্ত। পাশাপাশি তার সং'স্পর্শে আসা পরিবারের অন্য সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তাদের রিপোর্টও নেগে'টিভ এসেছে। এ ছাড়া আশপাশের চারটি বাড়ির লকডাউন প্র'ত্যা'হার করা হয়েছে।