নিউজ ডেস্ক : অন্ধ বৃদ্ধা মাকে রাস্তায় বসিয়ে ভিক্ষা করাতে বাধ্য করছেন তার ছেলে। আর রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেগম (৭৫) নামে ওই বৃদ্ধার আজীবন ভরণপোষণের দায়িত্ব নিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের কহুলী গ্রামের বাসিন্দা হলেন বেগম । তিনি চোখে দেখতে পান না। স্বামী মা'রা যাওয়ার পর ছেলের সংসারে বসবাস করেন। কিন্তু তার ভরণপোষণের দায়িত্ব নেননি ছেলে। নিজের পেটের একমাত্র সন্তান তাকে বাধ্য করেছেন ভিক্ষা বৃত্তিতে।
ছেলে প্রতিদিন সকালে কোলে করে কোয়াটার মাইল দূরে পাকা সড়কে ভিক্ষা করার জন্য রেখে যান। আবার বিকেলে সেখান থেকে তুলে নিয়ে যান বাড়িতে। বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে পড়া অন্ধ বৃদ্ধা রোদ বৃষ্টি আর ঝড় মাথায় নিয়ে সারাদিন সড়কের পাশে বসে থাকেন। সড়কে চলাচলকারী লোকজন ২-৪ টাকা করে ভিক্ষা দিয়ে যান তাকে। এই দিয়েই চলে তার পেট। বৃদ্ধার ছেলের নাম জানা যায়নি। শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) আসনের সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) নন্দীগ্রাম থেকে গাড়িতে করে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম। দোহারের কাছে পৌঁছামাত্র দেখি রাস্তার পাশে বসে ভিক্ষা করছেন বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে পড়া অন্ধ এক বৃদ্ধা। পরে জানতে পারি তার ছেলে প্রতিদিন সকালে তাকে কোলে করে পাকা সড়কে ভিক্ষা করার জন্য বসিয়ে রেখে যান। আবার বিকেলে সেখান থেকে তুলে নিয়ে যান বাড়িতে। ওই বৃদ্ধার ৫ বছর বয়সে টাইফয়েড জ্বরে দুই চোখ অ'ন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় সড়কের উপরে বসে ভিক্ষা করলে যেকোনো সময় 'দুর্ঘ'টনা ঘ'টতে পারে। তাই ওই বৃদ্ধার ছেলেকে ডেকে আনি এবং বৃদ্ধার আজীবন ভরণপোষণের দায়িত্ব গ্রহণ করি আমি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই বদ্ধার নামে বয়স্ক ভাতার কার্ডসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে। তাকে এখন থেকে আর রাস্তায় বসে ভিক্ষা করতে হবে না।’