বগুড়া থেকে : বগুড়া পৌরসভা নির্বাচনে সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শাশুড়ি খোদেজা বেগম ও ছেলের বউ রেবেকা সুলতানা লিমা দুজনই হেরে গেছেন। জবা ফুল প্রতীকের শাশুড়ি ও চশমা প্রতীকের বউমা দুজনই বিএনপি সমর্থিত শাহিনুর শানুর কাছে পরাজিত হন।
বউমা লিমা অংশ নেওয়ায় তিনবার নির্বাচিত কাউন্সিলর শাশুড়িকে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। বগুড়া জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, গত রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৪নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে শাহিনুর শানু (দ্বিতল বাস) চার হাজার ২৭৪ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান কাউন্সিলর খোদেজা বেগম পেয়েছেন, তিন হাজার ৪৫৬ ভোট। তার বউমা রেবেকা সুলতানা লিমা পেয়েছেন, দুই হাজার ২০০ ভোট।
খোদেজা বেগম বিএনপি দলীয় সমর্থন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পরপর তিনবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এবারের নির্বাচনে তার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বউমা লিমা। ভোটের আগে খোদেজা মজা করে বলেছিলেন, জনগণ চশমা পরে কেন্দ্রে গিয়ে জবা ফুলে ভোট দেবেন। এছাড়া তার ভোট কমবে না।
আর বউমা লিমা বলতেন, শাশুড়ির কাছ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি ভোট করবেন। তবে নির্বাচনে পরাজয়ের পর খোদেজা ও পরিবারের সদস্যরা বউমা লিমাকে দায়ী করছেন। লিমা প্রার্থী না হলে ওই দুই হাজার ২০০ ভোট শাশুড়ির ঝুলিতে পড়তো। আর তিনি চতুর্থবারের মত কাউন্সিলর হতেন। এ প্রসঙ্গে লিমা কোন কথা বলতে রাজি হননি।
এলাকাবাসী ও স্বজনরা জানান, বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া দক্ষিণপাড়ার মৃত আশরাফ আলীর স্ত্রী খোদেজা বেগম বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি বগুড়া পৌরসভার ৪ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (১০, ১১ ও ১২ ওয়ার্ড) পরপর তিনবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এবারের নির্বাচনে বড় ছেলে যুবদল কর্মী ও জেলা ফল ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন স্ত্রী রেবেকা সুলতানা লিমাকে প্রার্থী করেন।
আলমগীর বলেন, বয়স হওয়ায় মা এবার প্রার্থী না হবার কথা বলেছিলেন। তিনি লিমাকে সমর্থন দিয়ে প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ছোট ভাই জাহাঙ্গীর হোসেনের চাপে মা আবারো প্রার্থী হন। এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তার মায়ের জনপ্রিয়তা অটুট ছিল। কিন্তু ভাবি লিমা প্রার্থী হওয়ায় ভোটা কাটাকাটি হয়ে মা (খোদেজা) পরাজিত হলেন। এলাকার ভোটাররা জানান, খোদেজা তাদের প্রিয় কাউন্সিলর ছিলেন। এবার বউমা প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ায় ভোট ভাগ হয়ে গেছে। ফলে দুজনকে পরাজিত হতে হয়।