আদমদীঘি (বগুড়া) : করোনার আগে নিয়মিত স্কুলে যাওয়া মেয়ে জেসমিন আক্তার ছুটিতে থেকে এখন ছেলে জুবায়েদে পরিণত হয়েছে। মেয়ে থেকে ছেলে হওয়ার এই 'অলৌকিক' ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার লক্ষিপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের লক্ষিপুর গ্রামের কৃষক জালাল হোসেন স্ত্রীকে গর্ভাবস্থায় রেখে বিদেশে চলে যান। জেসমিন আক্তার ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে নানা-নানীর বাড়ি উপজেলার শাওইলে বসবাস করছিল। সেখানে জেসমিন আক্তার বড় হয় এবং শাওইল দ্বীমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করতে থাকে। দুই বছর আগে তার বাবা বিদেশ থেকে বাড়িতে এসে কৃষি কাজ শুরু করেন। তাদের সংসারে এক মেয়ে আর ছেলে। বড় মেয়ে জেসমিন আক্তারকে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেয়ার কথা ভাবছিলেন বাবা। এরপর বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে বন্ধ হয়ে যায় জেসমিনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরপর গত চার মাস আগে জেসমিনের কণ্ঠস্বর ছেলেদের মতো বদলে যেতে শুরু করে। তারপর থেকে তার আচার-আচরণ ছেলেদের মতো হতে থাকে। ৪৫ দিনের মাথায় জেসমিনের শারীরিক গঠন পরিবর্তন হয়ে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়। এ ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে উৎসুক জনতা তাকে দেখতে তাদের বাড়িতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন।
জেসমিন আক্তার বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি নামাজ রোজা ও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তাম। প্রথমে তেমন কিছু মনে হয়নি। তিন মাস আগে হঠাৎ একদিন আমার গায়ে জ্বর আসে। এরপর থেকে মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হই। এখন আমার নাম রাখা হয়েছে জুবায়েদ মণ্ডল। আমি এখন পূর্ণাঙ্গ পুরুষ এবং শারীরিকভাবে সুস্থ।
জেসমিনের বাবা জালাল হোসেন মণ্ডল জানান, বড় মেয়েটি ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ায় তার নাম রেখেছি জুবায়েদ মণ্ডল। আমি অনেক খুশি হয়েছি মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে।