বগুড়া: বগুড়ার শেরপুরে স্ত্রী-ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়ির দরজা বন্ধ করে দিয়ে বাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। আজ শনিবার বেলা ১২টার দিকে শেরপুর পৌরশহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খন্দকারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীরা ও এলাকাবাসী জানায়, ওই এলাকার মৃত দুদু মিয়ার ছেলে নজরুল ইসলাম বিগত চার থেকে পাঁচ বছর আগে বরিশালে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর থেকে প্রথম স্ত্রী শাহানাজ পারভীনকে কোনো খরচ না দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পাঁয়তারা চালাতে থাকেন। এ নিয়ে পারিবারিক কলহ চলছিল। এর জের ধরে শনিবার সকাল ৯টার দিকে প্রথমে স্ত্রী শাহনাজ পারভীন, ছেলে আবু নোমান ও ছেলের বউ মুক্তা আক্তারকে মারপিট করে নজরুল। একই সঙ্গে বাড়ি-ঘরে ভাঙচুর চালায়। এ সময় তাঁরা জীবন রক্ষার্থে ৯৯৯-এ ফোন দেয়। এরপর শেরপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধারসহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে চলে যান।
এরপর বেলা ১২টার দিকে নজরুল ইসলাম বাড়ির দরজা বন্ধ করে দিয়ে স্ত্রী-ছেলে পুত্রবধূকে হত্যার উদ্দেশ্যে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে তাঁদের চিৎকারে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভুক্তভোগী নজরুল ইসলামে ছেলে আবু নোমার অভিযোগ করে বলেন, আমাদের হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়ির দরজা বন্ধ করে দিয়ে বাবা আগুন ধরিয়ে দিয়ে চলে যায়। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে উদ্ধার করেছে।
স্ত্রী শাহানাজ পারভীন বলেন, দ্বিতীয় দিয়ের পর থেকে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলেন তিনি। স্বামীর বসতভিটা ছেড়ে না যাওয়ার কারণেই আমাদের হত্যার উদ্দেশ্যে বাইরে থেকে বাড়ির দরজা বন্ধ করে দিয়ে বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অভিযুক্ত নজরুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন এবং তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা ৯৯৯ থেকে একটি ফোন পেয়ে জানতে পারি খন্দকারপাড়ায় একটি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হচ্ছে। পরে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পরবর্তীতে সেখানে আবার বাড়ির দরজা বন্ধ করে আগুন লেগে দেওয়া হয়েছে বলে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।