বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বালিয়াদীঘি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ডের কালাইহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট-বিজিবির ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। নৌকার সমর্থকরা এ সময় পুলিশ, বিজিবি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার চারটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছেন।
হামলায় উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা, পুলিশ ও বিজিবির সদস্যসহ চারজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কয়েক দফা গুলিবর্ষণ করেছে। নিবাচনী সহিংসতায় বিজিবির গুলিতে নিহতদের সংখ্যা রাত ৯টা পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। তবে স্থানীয় সূত্র জানা যায়, গুলিতে ৪ জন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- গাবতলী উপজেলার বালিয়াদিঘী ইউনিয়নের কালাইহাটা ইউনিয়নের মধ্যপাড়ার বাসিন্দা খোকন মন্ডলের স্ত্রী কুলসুম (৪০)। তিনি ওই ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ছোবেদার নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন। মধ্যপাড়ার মৃত মবদুলের ছেলে আলগীর (৩৫), পশ্চিমপাড়ার মৃত ইফাতুল্লা প্রামানিকের ছেলে আব্দুল রশীদ (৪৮), উত্তরপাড়ার মৃত ছহির উদ্দিন আকন্দর ছেলে খোরশেদ আকন্দ (৬৫)।
আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে গাবতলী উপজেলার বালিয়াদিঘী ইউনিয়নের কালাই হাটা উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। গাবতলী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) রওনক জাহান বলেন, কালাই হাটা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হলেও নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা গণনায় বাঁধা দেন। অন্য কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে তাঁরা ভোটের ফলাফল ঘোষণা করতে বলেন।
এতে আপত্তি জানালে নৌকা মার্কার প্রার্থী ইউনুছ আলী ফকিরের সমর্থকরা ভোট কেন্দ্রে হামলা চালান। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে নৌকা মার্কার কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। নৌকা মার্কার কর্মীরা ইউএনওর গাড়ি ছাড়াও পুলিশ, বিজিবির মোট চারটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেন। হামলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বে থাকা শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসিফ আহমেদ ছাড়াও বিজিবি পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়। তবে কতজন হতাহত হয়েছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী শুধু কুলসুম নামে একজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।