এমটি নিউজ ডেস্ক : গাছে গাছে ঝুলছে পাকা আম, তলায় ইতস্তত ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে পাকা আম, অথচ কেউ ছুঁয়েও দেখছে না। বগুড়ার গ্রামে গ্রামে এখন এমই এক চিত্র। কারণ প্রায় সব আমেই পোকা। কোন আমটায় পোকা নেই তা খুঁজে পাওয়া দুরূহ।
জেলার সারিয়াকান্দী, ধুনট, সাহজাহানপুর, গাবতলী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই দু-চারটি করে আমগাছ রয়েছে। কিন্তু আমের গল্প নেই কোথাও। আম নিয়ে উৎসাহ নেই কোথাও। মজা করে আম পাড়া বা খাওয়ার দৃশ্য নেই কোথাও। অথচ প্রতিবারই আমের মৌসুমে প্রায় সবার মধ্যে থাকে বাড়তি উচ্ছলতা।
ধুনট উপজেলার চিথুলিয়া গ্রামের শাহ আলম বলেন, “পাকা আম মানেই পোকা। তাই গাছের আম পোক্ত হওয়ার পরও পাড়ছি না।“ সারিয়াকান্দী উপজেলার দড়িপাড়া গ্রামের জুয়েল মিয়ার আছে ১০টি গাছ।
জুয়েল বলেন, “এবার সব গাছের আমেই পোকা ধরেছে। পাকা আম কাটলেই পোকা। তাই পাকা আম পড়ে থাকলেও কেউ কুড়াচ্ছে না।” গাবতলী উপজেলার মালিয়ান ডাঙ্গা গ্রামের রায়হান মিয়ার ১২টি গাছের মধ্যে ১১টিতেই পোকা ধরেছে।
তিনি দুঃখ করে বলেন, “গাছের আম গাছেই পেকে ঝরে পড়ছে। এবার আম কিনে খেতে হবে।” মুকুল আসার পর ওষুধ না দেওয়ায় এমন হয়েছে বলে কৃষি কর্মকর্তাদের ভাষ্য।
বগুড়া কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. দুলাল হোসেন বলেন, “আশপাশের জেলায় বাণিজ্যিকভাবে যারা আম চাষ করেন তারা মুকুল আসার সময় ওষুধ ছিটান। তাই তাদের আমে পোকা নেই। যাদের আমগাছ আছে তারা কৃষি বিভাগ থেকে পরামর্শ নিলে এমন হবে না।”