বুধবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৯:২৫:২২

১২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ!

১২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ!

এমটি নিউজ২৪ ডেস্ক : বগুড়ায় ১২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। গত দুই সপ্তাহ আগেও পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে। সেই কাঁচা মরিচ বগুড়ার আদমদীঘিতে মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে নেমে এসেছে ১২ টাকায়। তবে বগুড়া শহরে কাঁচা মরিচ ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলার আদমদীঘির সদর, ছাতিয়ানগ্রাম ও সান্তাহার বাজারসহ বিভিন্ন হাটবাজারে খুচরা ১৫ টাকা কেজিতে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে। জেলার মহাস্থান হাটে পাইকারি বাজারে খুচরা ১৫ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায়  সহস্রাধিক বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার মরিচ চাষের পরিমাণ কিছুটা বেশি। 

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের দামও বৃদ্ধি করা হয়েছিল। দুই সপ্তাহ আগে পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে। যা এখন পাইকারি বাজারে ১২টাকা ও খুচরা বাজারে ১৫ টাকায় নেমে এসেছে।

আদমদিঘী উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম হাটে মরিচ বিক্রি করতে আসা অন্তাহার গ্রামের আবু সাঈদ জানান, তিনি ১২ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করেছেন। 

মহাস্থান হাটে পাইকারি কাঁচা মরিচ ক্রেতা মুক্তি ফল ভান্ডারের রহেদুল ইসলাম জানান, জমি থেকে অধিক পরিমাণে মরিচ তোলার কারণে বাজারে আমদানি বেড়ে যাওয়ায় দাম অনেক কমে গেছে। এখন মরিচ চাষিরা বিপাকে পড়েছেন। গত দুই সপ্তাহ আগে ১৫০-২০০ টাকা কেজির কাঁচা মরিচ এখন ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 

কাঁচা মরিচের পাইকারী ব্যবসায়ী মনোয়ার হোসেন জানায়, হাট বাজারে আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কমেছে। কাঁচা মরিচ পচনশীল। তাই মরিচের দরপতন হয়েছে।

মরিচ চাষি মকবুল হোসেন জানান, প্রতি বিঘা জমিতে মরিচ চাষের জন্য প্রায় ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। হঠাৎ পাইকারি বাজারে ১২ টাকা কেজিতে বিক্রি করে উৎপাদন খরচ তোলা সম্ভব হচ্ছে না। এখন ক্ষেত থেকে প্রতিকেজি মরিচ তুলতে ৫ টাকা শ্রমিকের মজুরি দিতে হচ্ছে। 

আদমদিঘী উপজেলার মরিচের ক্রেতা গিয়াস উদ্দিন জানান, বুধবার সকালে খুচরা বাজারে ১৫ টাকা কেজি দরে মরিচ কিনেছি। যা গত সোমবার ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দুলাল হোসেন জানান, জেলার ১২টি উপজেলার বেশিরভাগ মরিচ চাষ হয় ইউনিয়ন পর্যায়ে। সার্বক্ষণিক কৃষকের পাশে ছিল কৃষি বিভাগ। ফলে এবার মরিচের ফলনও ভালো হয়েছে। জমি থেকে মরিচ তোলা শুরু করায় বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কমেছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে