এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : হঠাৎ উল্টে গেল, বগুড়ায় একদিনের ব্যবধানে রোববার পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম পড়ে গেছে। প্রতি কেজিতে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কমে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা লোকসান গুনছেন।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, হঠাৎ এলসি খোলার খবরে ভারতীয় পেঁয়াজ ঢুকে পড়বে এ আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা তড়িঘড়ি করে দর কমিয়ে বিক্রি করছেন। এতে ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি দেখা দিলেও ব্যবসায়ীদের প্রতি কেজিতে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা লোকসান হচ্ছে।
বগুড়া শহরের রাজাবাজার ও ফতেহআলী বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত শনিবার মানভেদে প্রতি কেজি নতুন পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকা এবং পুরাতন ১১৫ টাকা থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়। রোববার দাম কমে নতুন পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকা ও পুরাতন পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়। খুচরা বাজারে প্রতি কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেশি।
বগুড়ার কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘদিন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। এছাড়া সরবরাহ কম থাকায় বগুড়ার হাট-বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ছিল না। প্রতিদিন প্রায় পাঁচ টন পেঁয়াজের চাহিদা থাকলেও দাম নিয়ন্ত্রণে আসছিল না। নতুন পেঁয়াজ বাজারে এলেও দাম বেশি ছিল। পেঁয়াজ আমদানির এলসি খোলার খবরে একদিনে কেজিতে ৩০-৩৫ টাকা কমে গেছে।
বগুড়া শহরের সুলতানগঞ্জপাড়ার খুচরা ব্যবসায়ী লিখন শেখ জানান, একদিনে পেঁয়াজের দাম অনেক কমে গেছে। এতে ক্রেতারা খুশি হলেও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
শহরের কাটনারপাড়ার গৃহবধূ উম্মে কুলসুম জানান, রোববার একদিনের ব্যবধানের প্রতি কেজি পেঁয়াজে ৩০-৩৫ টাকা কমে গেছে। এতে তারা অনেক খুশি হয়েছেন। ব্যবসায়ীদের কে ক্ষতিগ্রস্ত হলো এটা তাদের দেখার বিষয় নয়।
রোববার বিকালে বগুড়ার রাজাবাজার আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ রাজ জানান, গত কিছুদিন ধরে পেঁয়াজের বাজার অনিয়ন্ত্রিত ছিল। নতুন পেঁয়াজ বাজারে এলে দামের ঝাঁঝ কমেনি। রোববার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির এলসি খোলার খবরে বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি শুরু হওয়ায় দাম কমে যায়।
তিনি বলেন, শিগগিরই পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৫০ টাকায় বিক্রি হবে। এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকা লোকসানে বিক্রি করছেন।
তিনি আরও বলেন, কাল পেঁয়াজের দাম হয়তো আরও কমতে পারে, সেই ভয়ে আজ বাজারে দাম কমেছে। ব্যবসায়ী নেতা আশঙ্কা করছেন, নতুন দেশি পেঁয়াজ কিছুদিন পর বাজারে স্বাভাবিকভাবে পাওয়া যাবে। তার ঠিক আগে এভাবে এলসি খোলায় তাদের বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বা হচ্ছে।