বগুড়া : কিশোর প্রেমিকের পাগলামির কথা ভেবে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ অবধি আইনি ঝামেলা থাকায় কনে পক্ষ সুর পাল্টায়। বরের বয়স ১৮ পেরোইনি।
আইনী বিধি নিষেধের কথা ভেবেই শনিবার সন্ধ্যায় কনের বাবা জানিয়ে দেন, এখনই বিয়ে নয়। মেয়ে এসএসসি পাস করলে বিয়ের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু কিশোর প্রেমিক তা মানতে নারাজ। তাই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত।
রোববার সকালে সবার অজান্তে ঘরে থাকা কীটনাশক পান করে কিশোর প্রেমিক। পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়া প্রেমিকের নাম আতাউর রহমান আপেল। সে বগুড়া সরকারি শাহ সুলতান কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। সে জেলার শাজাহানপুর উপজেলার সুজাবাদ বালাপাড়া গ্রামের তরকারি ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনের ছেলে।
তার প্রেমিকা স্থানীয় বালাপাড়া গ্রামের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
স্থানীয়রা জানান, বছর দুয়েক আগে ওই ছাত্রী অষ্টম শ্রেণিতে পড়ালেখা করার সময় আপেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের প্রেমের বিষয়টি উভয়ের পরিবারের মধ্যে জানাজানি হয়। দুই পরিবার বসে রোববার তাদের বিয়ের দিন ধার্য করে।
এরই মধ্যে গ্রামের কিছু সচেতন ব্যক্তি মেয়ের বাবাকে বাল্যবিয়ের বিষয়টি জানান। মেয়ের বাবা বিষয়টি অনুধাবন করে আপেলের বাবাকে শনিবার বিয়েতে তার আপত্তির কথা জানিয়ে দেন। আপেলের বাবা-মা বিষয়টি মেনে নেয়। কিন্তু বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে আপেল।
আপেলের মৃত্যুর খবরে উভয় পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া।
আপেলের বাবা আলমগীর হোসেন বলেন, বিয়ে না হওয়ায় তার ছেলে আত্মহত্যা করেছে। যা হবার হয়ে গেল, করার কি?
২০ মার্চ,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম