বগুড়া : বগুড়ার জেলার শেরপুরে এক বাড়িতে বিস্ফোরণে অজ্ঞাতনাম দুইজন নিহত হওয়ার পর সেই বাড়িতে র্যাব-পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেনেড, পিস্তল ও গুলি এবং বোমা তৈরির বিপুল পরিমাণ উপকরণ উদ্ধার করেছে।
রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের জুয়ানপুর কুটির ভিটা গ্রামে ওই বিস্ফোরণ ঘটে বলে বগুড়ার পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান জানান।
তিনি বলেন, সকালে ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ২৫টি গ্রেনেড, চারটি পিস্তল, ছয়টি ম্যাগজিন ও ৪০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি উদ্ধার করা হয়। গ্রেনেডগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
এসপি আসাদুজ্জামান বলেন, তিনি নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে অভিযান চালিয়েছেন। র্যাব ও ঢাকা থেকে আসা বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল এই অভিযানে ছিল। তবে সোমবার দুপুর পর্যন্ত নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
এসপি বলেন, যে অটোরিকশাচালক বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিল তাকে আটক এবং নিহতদের পরিচয় জানা গেলে কারা এ ঘটনার পেছনে রয়েছে তা জানা যাবে। জঙ্গিদের কার্যকলাপের সঙ্গে এদের কাজের মিল রয়েছে কি না তাও মিলিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বগুড়া শহরের ছিলিমপুর টাউন ফাঁড়ি পুলিশের টিএসআই শাহ আলম জানান, রাতে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। সেখান থেকে গুরুতর আহত দু’জনকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন তারা।
তিনি বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার পরপরই কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ১২টার দিকে আরেক জনের মৃত্যু হয়।
রোববার সারারাত বিস্ফোরণস্থল ঘিরে রাখার পর সোমবার সকালে সেখানে তল্লাশি শুরু হয়। স্থানীয়রা জানান, যে বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার মালিক মাহবুবুর রহমান। ৫/৬ মাস আগে নওগাঁর মিজানুর রহমান নামে এক অটোরিকশাচালক বাড়িটি ভাড়া নেন।
তিন দিন আগে ওই অটোরিকশাচালক পরিবার নিয়ে গ্রামে চলে যাওয়ার পর থেকে ওই বাড়িতে অপরিচিত দুই ব্যক্তির আনাগোনা দেখতে পান স্থানীয়রা। বিস্ফোরণে ওই দুজনই নিহত হয়েছেন বলে তাদের ধারণা।
০৪ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস