বগুড়া: ভোটে হেরে নিজের বিছানো রাস্তার ইট তুলে নিলেন আওয়ামী লীগের এক চেয়ারম্যান প্রার্থী। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় মুখরোচক আলোচনা সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া সরদ ইউনিয়নে। ওই ইউনিয়নের কামার গ্রামের ভোটাররা ভোট দেয়ার অঙ্গীকার করায় রাস্তায় ইট বিছায়ে ছিলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সাঈদ ফকির। ভোটে হেরে গিয়ে ওই প্রার্থী রাস্তার ইট তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে ইউএনও রাস্তার ইট তুলে নেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।
শনিবার ইউপি নির্বাচনে হেরে গিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সাঈদ ফকির এ কাজটি করেছেন। তিনি দুপচাঁচিয়া সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সদর ইউপির মেম্বার ছিলেন। প্রায় পাঁচ মাস আগে সদর ইউপির চেয়ারম্যান মোয়াজ্জিন হোসেন গ্রেপ্তার হবার পর আবু সাঈদ ফকির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হন। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় কামারগ্রামে ঢুকতেই রাস্তায় বিছানো ইট তুলে নিচ্ছে শ্রমিকরা। তুলে নেয়া ইট ট্রাকে ভরানো হচ্ছে। আমজাদ হোসেনের বাড়ি থেকে শহীদুল ইসলামের বাড়ি পর্যন্ত ইট বিছানো ছিল। ইট বিছানো রাস্তাটি প্রায় ২৫০ মিটার দৈর্ঘ্য। গ্রামের কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘গ্রামে ঢোকার রাস্তাটির মাঝখানে কাঁচা ছিল। সদর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু সাঈদ দুমাস আগে নিজের টাকা খরচ করে ইট বিছিয়ে দিয়েছেন।
নির্বাচনের সময় আবু সাঈদ নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়েছেন গ্রামের ভোটারদের কাছে। কিন্তু গ্রামে তো বিভিন্ন দলমতের ভোটার আছে। সবাই তাকে ভোট দিবে না।’ চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সাঈদ ফকিরের কর্মী গ্রামের ভোটার আলমগীর হোসেন বলেন, সাঈদ ভাই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হবার পরই নিজের টাকা দিয়ে ইট বিছিয়ে দিয়েছেন। এতে তাঁর খরচ হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। গ্রামে ৯৫৯ জন ভোটার আছে। এত বড় একটা উপকার করার জন্য ভোটারদের উচিত ছিল তাকে ভোট দেয়া। গ্রামের লোকজন ভোট না দেয়ায় আমরা নিজ থেকেই ইট তুলে দিচ্ছি তাকে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহেদ পারভেজ বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে প্রকৌশলী সাহেবকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য বলা হয়েছে। ওই রাস্তায় নতুন করে বিছানো ইট সরকারি অর্থের নয়। সরকারি রাস্তায় ইট বিছিয়ে তা তুলে নেয়া যাবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ইউএনও বলেন, রাস্তায় ইট তুলে নেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।-এমজমিন
২জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ