চট্টগ্রাম থেকে : পার্বত্য তিন জেলায় পাহাড় ধসের ঘটনায় বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পার্বত্যাঞ্চলে। গতকাল পর্যন্ত ১৫০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। স্বজনহারা মানুষের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে বাতাস। আহত ও গৃহহীনরা মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি পার করছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। গতকাল রাঙ্গামাটির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
পরে তিনি জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা ও পুনর্বাসনে সরকার সবকিছু করবে। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন।
সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী রাঙ্গামাটিতে ১০৬ জন, চট্টগ্রামে ৩৫ জন, বান্দরবানে ৬ জন, কক্সবাজারে ২ জন এবং খাগড়াছড়িতে ১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয়রা দাবি করেছেন এখনো বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন। মৃতের সংখ্যা দেড় শতাধিক হতে পারে বলে তাদের ধারণা।
ওবায়দুল কাদের সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের জানান, রাঙ্গামাটির ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসন ও সহায়তায় সরকার সব রকম সহযোগিতা করবে। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে রাঙ্গামাটির দুর্গত মানুষের জন্য ৫০ লাখ টাকা, ১০০ টন চাল, ৫ শ’ বান্ডিল টিন ও পরিবারপ্রতি ৩ হাজার করে টাকা প্রদানের ঘোষণা দেন।
তিনি রাঙ্গামাটির চট্টগ্রাম সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনঃস্থাপনের জন্য এবং রাঙ্গামাটি শহরে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করতে যা কিছু করা দরকার দ্রুত সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ, ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল উপস্থিত ছিলেন। চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
জুন, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএস