নিউজ ডেস্ক: একই রোগ, পরীক্ষাও একই। তাতে তিন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ফলাফল তিন রকম। মিল নেই একটির সাথে অন্যটির। এতে গত দেড়বছরে রোগ নির্ণয়তো হয়নি, উল্টো নানা ঔষধ সেবনে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে চট্টগ্রামের এক স্কুল শিক্ষিকা। চিকিৎসকরা বলছেন, টেস্টের ভুল রিপোর্টের ভিত্তিতে বিপন্ন হতে পারে রোগীর জীবন। আর এমন অবহেলায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন। স্কুল শিক্ষিকা মিতু চক্রবর্তী। ভুগছেন থাইরয়েডজনিত সমস্যায়। তাই গত দেড়বছরে ছয়বার টিএসএইচ পরীক্ষা করিয়েছেন তিনি। তাতে একেক সময় ফলাফল এসেছে একেক রকম।
সবশেষ এমাসের প্রথম সপ্তাহে চট্টগ্রাম নগরীর তিনটি নামী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেস্ট করার পর ফলাফল পেয়েছেন তিনরকম। তাতে পরমাণু শক্তি কমিশনের ল্যাবে টিএসএইচ এর মাত্রা ধরা পড়ে ৩.৮৯। একই দিন আধঘন্টার ব্যবধানে পপুলার ডাগায়নস্টিক এ করা টেস্টে এর মাত্রা ছিল ১২.৭২। দুইদিন পর আরেক রোগনির্নয় কেন্দ্র সেনসিভে একই টেস্ট করিয়ে ফলাফল পাওয়া যায় ৭. ৪৪।
একই টেস্টে এমন আকাশপাতাল ফলাফল সম্ভব নয় বলে মানছে সংশ্লিষ্ট রোগনির্নয়কেন্দ্রগুলোও। তারপরও নিজেদের পক্ষে আছে নানা যুক্তি। চিকিৎসকরা বলছেন, টিএসএইচ টেস্টের ফলাফলে এত ব্যবধান সম্ভব নয় কোনভাবেই । তাতে, কারো না কারো ভুল আছে অবশ্যই। আর ভুল রিপোর্টের ভিত্তিতে চিকিৎসা হলে বিপন্ন হতে পারে রোগীর জীবন। এমন ঘটনাকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য জেলা সিভিল সার্জনের। এজন্য তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি। শুধু এই একটি ঘটনাই নয় বিভিন্ন ধরনের ডাক্তারি টেস্টে প্রায়ই ভুল রিপোর্টের অভিযোগ ওঠছে চট্টগ্রামের রোগ নির্ণয়কেন্দ্রগুলোর বিরুদ্ধে।
উৎসঃ চ্যানেল২৪
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস