নিউজ ডেস্ক: বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় প্রাণ হারিয়েছে সমকাল পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরোর ক্রাইম রিপোর্টার রুবেল খানের আড়াই বছরের মেয়ে রাইফা। শুক্রবার দিনগত রাত ১২টার দিকে নগরের মেহেদিবাগে অবস্থিত ম্যাক্স হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে।
সাংবাদিক রুবেল খানের পরিবারের অভিযোগ, শিশু রাইফাকে গলার ব্যথাজনিত রোগে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সদের ভুল চিকিৎসা ও অবহেলার কারণে শিশু রাইফা মৃত্যুবরণ করে।
শিশির১২এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর পরই ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছেন সাংবাদিকরা।
ইংরেজী দৈনিক দি ইন্ডিপেন্ডেন্টের ব্যুরো চীফ শামসুদ্দিন ইলিয়াস ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘রাইফা আমাদের ক্ষমা করো। ডাক্তার-নার্সের ভুল চিকিৎসায় শুক্রবার রাত ১১ টায় নগরীর ম্যাক্স হাসপাতালে রাইফা শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করে। রাইফা’র বাবা রুবেল খান আমাদেরই সহকর্মী দৈনিক সমকালে সিনিয়র রিপোর্টার এবং চট্টগ্রাম স্পোর্টস জার্নালিস্টস এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি।’
শামসুদ্দিন ইলিয়াস আরো জানান, ‘তিনি চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য। অভিযোগ উঠেছে, দায়িত্বরত ডাক্তারের পরামর্শে ডিউটি নার্স রাইফাকে ভুল ইঞ্জেকশান প্রয়োগ করেন। রাত ৯-১০ টার সময় হাসিখুশি থাকা রাইফাকে রাত ১১ টায় ইঞ্জেকশান দেয়ার পরেই একটি খিঁচুনি দিয়ে সে মৃত্যুবরণ করে।’
বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাংবাদিক শামীম আহমেদ শিশির এ প্রসঙ্গে নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, ‘সামান্য গলা ব্যথায় পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নিয়েছে আড়াই বছরের ফুটফুটে শিশু রাইফা। নিজ হাতে আদরের মেয়েকে কবরে শুইয়েছে অসহায় বাবা। অভিযোগ হাসপাতালের বিরুদ্ধে। অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার হওয়া প্রয়োজন। ওই চিকিৎসকের শুধু মেডিকেল সার্টিফিকেট নয়, পেছনের ট্রাকরেকর্ডও যাচাই করা প্রয়োজন।’
একই ধরনের অভিযোগ তুলেন জনকণ্ঠের সিনিয়র সাংবাদিক হাসান নাসির। এ প্রসঙ্গে তিনি ফেসবুক পোস্টে জানান, ‘সহকর্মী সাংবাদিক রুবেল খানের কোলে তার আড়াই বছর বয়সী অতি আদরের কন্যার লাশ। ভাবা যায় না। কিন্তু দেখতে হলো। মামুলি গলা ব্যাথার চিকিৎসার এই অবস্থা। অথচ কেমন বাহাদুরি।
হাসান নাসির আরো জানান, ‘শোক ও সমবেদনা জানাবার ভাষা নেই। ক্ষোভ প্রকাশ করছি। ক্ষমা করো রুবেল। পাঠ্যবইতে পড়েছি এবং পড়ানো হয়, এই দেশে জন্মগ্রহণ করে আমরা গর্বিত। আজ প্রশ্ন জাগে, সত্যিই কি তাই?’