চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার জোড়ারগঞ্জ এলাকায় ‘জঙ্গি আস্তানা’ থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। র্যাবের দাবি, তারা দুইজন ‘জঙ্গি’ দলের সদস্য। এ ছাড়া ‘চৌধুরী ম্যানসন’ নামের ওই বাড়ির মালিক ও কেয়ারটেকারকে আটক করা হয়েছে।
চৌধুরী ম্যানশনে নিহত জঙ্গিদের চট্টগ্রাম আদালত ভবন টার্গেট ছিল বলে জানিয়েছেন র্যাব-৭ এর অধিনায়ক শাফায়াত জামিল ফাহিম। তিনি বলেন, জঙ্গিরা চট্টগ্রামের আদালত ভবনে হামলার টার্গেট করে নগরীর অদূরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে জোড়ারগঞ্জের চৌধুরী ম্যানসন ভাড়া নিয়েছিলেন।
শুক্রবার (৫ অক্টোবর) অভিযান শেষে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, সোহেল নামে এক যুবক গত ২৯ সেপ্টেম্বর একতলা ভবনটির ৫টি কক্ষ ভাড়া নেন, চারজন থাকবেন জানিয়ে। বাড়ির মালিক মাজহার চৌধুরীকে তারা একজন নারী ও তিনজন পুরুষ থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন।
এর আগে বেলা পৌনে ১১টার দিকে চৌধুরী ম্যানশন নামের ওই বাড়িটির ভেতর দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে র্যাব। র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেনেড বিস্ফোরণের কারণেই ওই দু’জনের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।
এছাড়া বাড়ি থেকে ৫টি অবিস্ফোরিত গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি বাড়ির ভেতরে পাওয়া গেছে। আর একটি একে-২২ চাইনিজ রাইফেল ও ৩টি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত ৩টা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্বপার্শ্বের চৌধুরী ম্যানশন ঘিরে রাখে র্যাব। এরপর ভোরে অভিযান চালানো হয়। ভোর চারটার দিকে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গিরা ভেতর থেকে গুলি ছোড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে বাড়ির ভেতরে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ হয়।
রাতেই বাড়ির মালিক মাজহার চৌধুরী এবং কেয়ারটেকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে র্যাব। বাড়ির মালিকের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের একটি রড নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন পরিচয় দিয়ে দুই ব্যক্তি বাড়িটি ভাড়া নেন।