চট্টগ্রাম থেকে : হাটহাজারী মাদ্রাসার সহযোগী পরিচালকের পদ থেকে হেফাজত মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে অব্যা'হতির বিষয়ে পা'ল্টাপা'ল্টি বক্তব্য পাওয়া গেছে। দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসার পক্ষ থেকে দেয়া বিশেষ বিবৃতিতে হেফাজত মহাসচিব নিজ থেকে সরে গিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়। বিষয়টি সত্য নয়, এর সঙ্গে দ্বি'মত পোষণ করেছেন বাবুনগরীর অনুসারীরা।
মঙ্গলবার বিকালে হাটহাজারী মাদ্রাসার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে শেয়ার করা বিবৃতিতে জানানো হয়, আল জামেয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর আহ্বানে আজ জামেয়ার সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটির (শূরা কমিটি) গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়।
এতে বলা হয়, ''বৈঠক শেষে মাওলানা নোমান ফয়জী উপস্থিত সবার সামনে শূরা কমিটির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। এতে তিনি বলেন, শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর উপস্থিতিতে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী সাহেব শূরা কমিটির সদস্যদের প্রতি মুঈনে মুহতামিমের পদ ছেড়ে দিতে সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।''
বিবৃতির এ অংশের প্রতিবা'দ জানিয়েছেন মেখল মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা নোমান ফয়জীর ছেলে ও হাটহাজারী ওলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়েজী। তিনি বলেন, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী সহযোগী পরিচালক পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন বলে যে সংবাদ মেখলের আল্লামা নোমান ফয়জী সাহেবের নামে প্রচার হচ্ছে তা মিথ্যা ও ভুয়া।
বুধবার রাতে তিনি বলেন, আমার বাবার বরাতে যে বিবৃতিটি দেয়া হয়েছে, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি এমন কোনো ঘোষণা দেননি। তাহলে বৈঠকের সিদ্ধান্ত কে পাঠ করল এ প্রশ্নের জবাবে মাওলানা জাকারিয়া বলেন, আমার জানামতে ঘোষণাপত্র এখনও লেখা শেষ হয়নি। এটি আগামীকাল লেখা হবে বলে মিটিংয়ে জানানো হয়েছে।
জানা যায়, বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল সোয়া ৩টা পর্যন্ত শূরা কমিটির বৈঠক শুরুর আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় পর দুপুর পৌনে ১টার দিকে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী উপস্থিত হন। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির মজলিশে শূরার বৈঠকের সিদ্ধান্ত মতে আল্লামা বাবুনগরীকে সহযোগী পরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।
মঙ্গলবারের বৈঠকে জুনায়েদ বাবুনগরীকে অব্যা'হতি দিয়ে এ পদে মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা শেখ আহমদকে মুঈনে মুহতামিম (সহযোগী পরিচালক) হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। মাওলানা শেখ আহমদ দীর্ঘ সময় হাটহাজারী মাদ্রাসায় শিক্ষক থাকলে বেশ কয়েক বছর আগে তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল।
অভিযোগ রয়েছে, ঘনিষ্ঠ কাউকে মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্বে রাখতে ২০১৮ সালের মে মাসে ফটিকছড়ির নানুপুর ওবাইদিয়া মাদ্রাসা থেকে শেখ আহমদকে হাটহাজারী মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে আনা হয়। এ বিষয়ে জুনাইদ বাবুনগরীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তার ব্যক্তিগত সহকারী ইনামুল হক ফারুকী বলেন, পুরো বিষয়টি নিয়ে জুনাইদ বাবুনগরীর পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেয়া হবে। সেখান থেকেই সবকিছু জানা যাবে।