চট্টগ্রাম : পাঁচ বছর পর আবারো রক্ত ঝরলো চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গণ্ডামারায় নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে। ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পক্ষে-বিপক্ষের লোকজন ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিতে দুই ভাইসহ চারজন নিহত হয়েছিল। ওই ঘটনায় আহত হয়েছিল ১১ পুলিশসহ অন্তত ১৯ জন। এবারও এস আলম গ্রুপের নির্মাণাধীন এই কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের গুলিতে পাঁচ শ্রমিক মারা গেল।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) সকালে শ্রমিকরা তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলনে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বাধে। এতে পুলিশের গুলিতে পাঁচ শ্রমিক নিহত হয়। আহত হয়েছে ২৩ শ্রমিক। আর আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুলিবিদ্ধ আহত ১১ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, বকেয়া বেতন পরিশোধ, বেতন বৃদ্ধির দাবি, শুক্রবার একবেলা কাজ করা ও ইফতারের জন্য সময় বরাদ্দসহ ১০ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা। এ সময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হলে এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই চারজন শ্রমিক নিহত হয়।
নিহতরা হলেন- গণ্ডামারা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব বড়ঘোনা মো. আবু ছিদ্দিকের ছেলে আহমেদ রেজা (১৮), একই এলাকার অলি উল্লাহর ছেলে রনি হোসেন (২২), নূর জামানের ছেলে শুভ (২৪) ও মো. দালু মিয়ার ছেলে মো. রাহাত (২২)। প্রথম ৪ জনকে বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরে দুপুরের দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রায়হান নামে একজন মারা যান।
এদিকে, শ্রমিকদের নিহতের খবরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতর বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া আশেপাশের অন্তত ১০ হাজারের বেশি মানুষ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ঘেরাও করে রেখেছে। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।