এমটিনিউজ ডেস্ক : অবশেষে রায় ঘোষণা করা হলো দেশে ব্যাপক আলোচিত মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার রায়। গতকাল রায়টি ঘিরে সোমবার চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে বরখাস্ত ওসি প্রদীপ দাশের গ্রামের বাড়ি ছিল সুনসান। গ্রাম ছিল থমথমে। চাপা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছিল এই রায়কে নিয়ে। এদিকে মামলার রায় শুনতে সকাল থেকেই উপজেলাজুড়ে মানুষের নজর ছিল টিভির পর্দায়।
যদিও এই ব্যাপারে এলাকাবাসী কোনো রকম মন্তব্য করতে রাজি হননি। আরেক অভিযুক্ত উপপরিদর্শক (এসআই) লিয়াকতের শ্বশুরবাড়ি বোয়ালখালীর পোপাদিয়া ইউনিয়নের আকুবদণ্ডী গ্রামে হওয়ায় সেখানেও রায় শোনা নিয়ে ছিল মানুষের আগ্রহ।
বোয়ালখালীর সারোয়াতলী ইউনিয়নের উত্তর কঞ্জুরী গ্রামে প্রদীপ দাশদের বাড়ি। মামলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভে ফুঁসছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘু হওয়ায় তারা খেসারত গুনছেন বলে দাবি প্রদীপের বড় ভাই রণজিত দাশের।
ওসি প্রদীপের কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী তাদের ভালো চোখে দেখছে না জানিয়ে রণজিত বলেন, ‘কারো একার অপরাধের দায় তো সবাই নিতে পারে না। তবু আত্মীয়-স্বজন সবার কাছে হেয় প্রতিপন্ন হতে হচ্ছে আমাদের। ’
গতকাল রায় ঘোষণার আগে দুপুরে কথা হয় রণজিত দাশের সঙ্গে। তিনি টিভিতে সিনহা হত্যা মামলার রায় শোনার অপেক্ষায় খবর দেখছিলেন। রণজিত বলেন, ‘অপরাধ করলে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। ’ তিনি জানান, বাড়িলাগোয়া মন্দিরে অনুষ্ঠান হবে আজ। এ উপলক্ষে তাঁদের উঠানে প্যান্ডেল করা হয়েছে। অবশ্য অনুষ্ঠানের আমেজ ছিল না বাড়িতে।
এদিকে উত্তর কঞ্জুরীর মৃত হরেন্দ্র দাশ চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে (সিডিএ) চাকরি করতেন। তাঁর পাঁচ ছেলের মধ্যে প্রদীপ দাশ চতুর্থ। প্রদীপের বেড়ে ওঠা ও পড়াশোনা চট্টগ্রাম শহরে। প্রদীপের স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। বাড়িতে অন্যান্য ভাইয়ের পাকা বাড়ি রয়েছে।