ব্রিটিশ পার্লামেন্টেও টাইগারের গর্জন : ওবায়দুল কাদের

চট্টগ্রাম : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের দেশে রাজনীতিকদের মুখে এত বিষ যা ফরমালিনের বিষকেও হার মানায়। তবে তরুণদের আমি রাজনীতি করতে নিরুৎসাহিত করব না।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন কর্মী উৎপাদন হয় না।  বাংলাদেশ এখন নেতা উৎপাদনের কারখানা।  বিলবোর্ডের দিকে তাকালে তা-ই বোঝা যায়।  আতি নেতা, পাতি নেতা, কত যে নেতা- এসব নেতা কিন্তু দেশের কোনো কাজে লাগে না।

রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক যুব সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।  

র‌্যাডিসন ব্লু হোটেলের মেজবান হলে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় পাঁচশত তরুণ-তরুণী অংশগ্রহণ করেন।  এতে কিছু তরুণ উদ্যোক্তাও অংশ নেন।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি এবং মডারেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম।  

বক্ত​ব্য রাখেন সাংসদ তাজুল ইসলাম, সাংসদ এম এ লতিফ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব মো. আবদুল করিম ও শ্রীলঙ্কার ফেডারেল চেম্বারের সভাপতি শরৎ​ প্রেমাতুঙ্গে কাহাপালারেচি।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রামের চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম। তরুণদের প্রশ্নোত্তর পর্ব সঞ্চালনা করেন মাহফুজ আনাম।

সেতুমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর সাতটি শৃঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনকারী ওয়াসফিয়া নাজরীনের দেশ বাংলাদেশ।  বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার সাকিবের দেশ বাংলাদেশ।  এ দেশকে যারা দুইশ’ বছর শাসন করেছিল, সেই ব্রিটিশ পার্লামেন্টেও টাইগারের গর্জন।  সেখানেও আছেন আমাদের তরুণ তিন সদস্য।  তরুণেরাই এ দেশের হাল ধরবে।  তোমাদের সামনে অপার সম্ভাবনার বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, দেশি বিদেশি পর্যটকদের কাছে পর্যটন শিল্পের আকর্ষণ বাড়াতে সড়ক যোগাযোগ বাড়াতে হবে।  শক্তিশালী সড়ক নেটওয়ার্ক করতে হবে। পর্যটন শিল্পকে যত কাজে লাগাতে পারব ততই দেশকে সমৃদ্ধির শিখরে নিয়ে যেতে পারব।

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেলের কাজ আগামী মার্চ মাসে শুরু হবে বলে জানান মন্ত্রী।  দারিদ্র্য ও সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ নির্মূলের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সংরক্ষণে তরুণদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

মন্ত্রী চট্টগ্রাম নগরে নারীদের জন্য দুটি বিআরটিসি বাস চালু করা হবে বলে জানান।  বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিউমার্কেটও দুটি বিআরটিসি বাস শিক্ষার্থীদের জন্য চালু করার আশ্বাস দেন।

মাহফুজ আনাম তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, এ পৃথিবী দক্ষতার পৃথিবী। ইন্টারনেটে দেশে বসে এখন সারাবিশ্বে ব্যবসা করা যায়।  পার্থক্য কেবল দক্ষ বিশ্ব ও অদক্ষ বিশ্বের।  তোমাদের দক্ষ বিশ্বের প্রতিনিধিত্ব করতে হবে।

তিনি বলেন, যে দেশে মানবসম্পদ সৃজনশীলতার মধ্যদিয়ে পরিচালিত হচ্ছে সেই দেশই ধনী।  তোমরা পারো সৃজনশীল হয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে।

সম্মেলনে চেম্বারের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি নূরন নেওয়াজ সেলিম ও সহ-সভাপতি জামাল আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
৩১ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম