চট্টগ্রাম : বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির ঘটনায় সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম এ লতিফের বিরুদ্ধে এবার আরো দুটি অভিযোগ আনা হয়েছে। ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ ও তথ্য-প্রযুক্তি আইনে এই অভিযোগ দুটি দায়ের করা হয়েছে।
এর মধ্যে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১২৪ ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগটি করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কে এম বেলায়েত হোসেন।
আর তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় অন্য অভিযোগটি দায়ের করেছেন যুবলীগের সাবেক নেতা সাইফুদ্দিন আহমেদ রবি, যিনি একই ঘটনায় এর আগে হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছিলেন।
মঙ্গলবার সকালে মহানগর হাকিম ফরিদুল আলমের আদালতে এ দুটি মামলার আর্জি নিয়ে আসেন দুই বাদী।
বেলায়েত হোসেনের আইনজীবী রনি কুমার দে গণমাধ্যমকে জানান, বিচারক তাদের আবেদন শুনেছেন। বিষয়টি আদেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
রবির আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীও বলেছেন, তাদের অভিযোগের শুনানি করে বিচারক বিষয়টি আদেশের জন্য রেখেছেন।
গত ৩০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চট্টগ্রাম সফরের আগে নিজের নির্বাচনী এলাকায় সড়কের পাশে বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত কয়েক ডজন বিলবোর্ড লাগান লতিফ। কিন্তু ওই ছবি নিয়ে ফেইসবুকে শুরু হয় তুমুল আলোচনা। বলা হয়, ছবির দেহাবয়ব, পাজামা ও জুতা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
এ নিয়ে আওয়ামী লীগের একটি অংশের বিক্ষোভের মধ্যে লতিফ গত রোববার বিলবোর্ডের প্রচারের দায়িত্বে থাকা বিজ্ঞাপনী সংস্থার এক ডিজাইনারকে সংবাদ সম্মেলনে হাজির করেন। সেই ডিজাইনার স্বীকার করেন, ছবিতে লতিফের দেহাবয়বে বঙ্গবন্ধুর মাথা ব্যবহার করা হয়েছে।
জাতির জনকের অবমাননা করার অভিযোগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি দণ্ডবিধির ৫০০ ও ৫০১ ধারায় হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন সাবেক যুবলীগ নেতা সাইফুদ্দিন রবি।
মহানগর হাকিম ফরিদ আলম তার অভিযোগ গ্রহণ করে পুলিশের তদন্ত ব্যুরোকে (পিবিআই) বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়া কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আবদুর রহিম জিল্লু ওইদিনই মানহানির আরেকটি মামলা করেন।
সাংসদ লতিফ ছবি বিকৃতির ঘটনার জন্য পুরো দায় ডিজাইনারের ওপর চাপালেও এই আওয়ামী লীগ নেতার বিচারের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম ১৪ দল।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস