চট্টগ্রাম : কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পুলিশের গুলিতে অন্তত ৩ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
৪ এপ্রিল সোমবার বিকেল তিনটায় উপজেলার গন্ডামারা এলাকার পশ্চিম বড়ঘোনা এলাকায় বেসরকারি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। নিহতদের পরিচয় পাওয়া গেছে।
তারা হলেন পশ্চিম গন্ডামারা ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের আশরফ আলীর পুত্র মর্তুজা আলী, আংকুর মিয়া ও পাতান পাড়ার জাকির হোসেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার সকালে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় একটি সিএনজি ও একটি পিকআপ প্রবেশ করতে চাইলে এলাকার লোকজন তাতে বাধা দেন। ওই ঘটনার সূত্র ধরে পুলিশ শনিবার রাতে প্রকল্প এলাকা থেকে ১০ জন লোককে আটক করেন। পরে প্রকল্প এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে।
স্থানীয়রা জানান, কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণকে কেন্দ্র করে পক্ষে-বিপক্ষে সমাবেশে প্রশাসনের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করায় এলাকাবাসীর মিছিলে গুলি চালিয়েছে পুলিশ। এতে প্রায় ২০ জন আহত হন। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরো ৩ জন।
এদিকে এ ঘটনায় স্থানীয়রা তিনজন নিহত হয়েছে বলে দাবি করলেও পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে কোন তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে হাজী পাড়া স্কুল মাঠে সমাবেশের ডাক দেন প্রতিরোধ কমিটি।
একই সময়ে বিদ্যু কেন্দ্রের পক্ষে সমাবেশের ডাক দেন আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল আলম। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে। তবে বিকেলে ১৪৪ ধারা ভেঙে সমাবেশ করতে গেলে প্রতিরোধ কমিটির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
এসময় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পক্ষের বেশ কিছু লোক সংঘর্ষে যোগ দেয়। তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত না করে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) মো. হাবিবুর রহমান জানান, বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণকে কেন্দ্র করে এলাকায় পক্ষে-বিপক্ষে দুটি গ্রুপ সৃষ্টি হয়েছে। তারা বিকেলে একই স্থানে সমাবেশ ডাকে।
তিনি জানান, এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন ওই স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করে। কিন্তু বিকেল চারটার দিকে বিপক্ষের গ্রুপটি ১৪৪ ধারা ভেঙে ওই স্থানে মিছিল করতে থাকে। পুলিশ তাদের বাধা দিলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, এসময় ঘটনাস্থলে থাকা পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়।
৪ এপ্রিল,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম