রবিবার, ০৫ জুন, ২০১৬, ০৮:৫৬:২১

এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা

এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা

চট্টগ্রাম: পুলিশ হেডকোয়ার্টারে কর্মরত পুলিশ সুপার ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক উপ-কমিশনার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তারকে চট্টগ্রামে তাদের বাসার কাছে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

পাঁচলাইশ থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ জানান, রবিবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে নগরীর জিইসি মোড়ের কাছে ও আর নিজাম রোডে মোটরসাইকেলআরোহী হামলাকারীরা মাহমুদার মাথায় গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

গত এপ্রিলের শুরুতে পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া বাবুল আক্তার কাজ করছেন ঢাকার পুলিশ সদরদপ্তরে। স্ত্রী খুন হওয়ার খবর পেয়েই তিনি রওনা হন চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে।

পদোন্নতির আগে বাবুল আক্তার গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উত্তর-দক্ষিণ জোনের দায়িত্বে ছিলেন।

এক ফকির ও তার খাদেম হত্যা এবং বোমায় ব্যবসায়ী নিহত হওয়ার দুটি ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে জেএমবির একটি আস্তানার সন্ধান পান বাবুল আক্তার। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকসহ জেএমবি নেতা জাবেদসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত অক্টোবরে পুলিশের সঙ্গে এক অভিযানে থাকা অবস্থায় গ্রেনেড বিস্ফোরণে নিহত হন জাবেদ।

গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার মোক্তার আহমেদ বলেন, যেহেতু বাবুল আক্তার জঙ্গি দমনে অনেক কাজ করেছেন, তারাই পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি। তবে সব সম্ভাবনাই আমরা খতিয়ে দেখব।

মোটরসাইকেলে আসা হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল তিনজন, তাদের একজনের মাথায় হেলমেট ছিল বলে প্রতক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে নগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) পরিতোষ ঘোষ জানিয়েছেন।

পুলিশ বলছে, প্রতিদিনের মতো মাহমুদা তার প্রথম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে ও আর নিজাম রোডের বাসা থেকে বেরিয়ে জিইসি মোড়ের দিকে যাচ্ছিলেন। মাহমুদার মাথায় যখন গুলি করা হয়, তার ছেলে তখন পাশেই ছিল।

মা হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী ছয় বছর বয়সী ছেলেটি বলছে, মোটরসাইকেলে যারা এসেছিল, তারা প্রথমে তাকে একপাশে সরিয়ে নিয়ে যায়। এরপর একজন তার মায়ের পেটে ছুরি মারে এবং পরে গুলি করে।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বশির আহমেদ বলেন, ঘটনাস্থলে তারা তিনটি অব্যবহৃত গুলি ও একটি গুলির খোসা পেয়েছেন। গুলিটি লেগেছে মাহমুদার মাথার বাঁ পাশে।

শারমীন আক্তার নামের এক প্রতিবেশী জানান, মাহমুদা প্রায়ই নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কথা বলতেন। বলতেন, ওই বাসা সবাই চিনে গেছে, বাসা বদলে ফেলতে হবে।

বাবুল-মাহমুদার চার বছর বয়সী একটি মেয়েও রয়েছে বলে শারমীন আক্তার জানান।
৫ জুন, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে