চুয়াডাঙ্গা থেকে : চুয়াডাঙ্গায় ঘরের টিনের চালে ইট মারার অভিযোগে মা-মেয়েকে বাঁশের খুটির সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি ঘোষবিলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতিতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি ইউনিয়ানের ঘোষবিলা গ্রামের মসজিদপাড়ার হানেফ আলির স্ত্রী রিনা খাতুন ও তার মেয়ে ইয়াসমিন। ইয়াসমিন ঘোষবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
গ্রামবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জামজামি ইউনিয়নের ঘোষবিলা গ্রামের মসজিদপাড়ার মিষ্টার আলির ঘরের টিনের চালে কে বা কারা বেশ কিছু দিন ধরে ইট মারছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার বিকেলে মিষ্টার আলির টিনের চালে ইট মারে। বিষয়টি প্রতিবেশি কমেলা খাতুন ও রিনা খাতুনকে দোষারোপ করে মিষ্টার। সন্ধ্যায় আলি ইট মারার বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেশি রিনা খাতুনের সাথে ঝগড়া শুরু করে। পরে আলি, তার স্ত্রী, মা, ভাই ও সন্তান মিলে রিনাকে মারার জন্য লাঠিসোটা নিয়ে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। মা-মেয়ে ভয়ে প্রতিবেশি আব্দুল মান্নানের বাড়িতে আশ্রয় নিলে মিষ্টার গং সেখান থেকে টেনেহেচড়ে ধরে নিয়ে আসে তাদের বাড়িতে। এরপর বাঁশের খুটির সাথে দড়ি দিয়ে বেধে মিষ্টারসহ পরিবারের সদস্যরা এলোপাথাড়ি লাঠিসোটা দিয়ে মারপিট করে আহত করে। পরে বিষয়টি স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশকে গ্রামবাসীরা খবর দিলে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে গত রাতেই আলমডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযুক্ত মিষ্টারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বিষয়টি এতো বড় ঘটনা হবে বুঝতে পারিনি।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন জানান, লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করার জন্য লোক পাঠিয়েছি ঘটনাস্থলে। তারপর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমটিনিউজ২৪/টিটি/পিএস