চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চোখে ছানি কাটার পর ২০ জন রোগীর একটি করে চোখ হারাতে হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা সিভিল সার্জন। অভিযুক্ত হাসপাতালের প্রশাসকের দাবি, অস্ত্রোপচারের সময় ভারতীয় অরোল্যাব কোম্পানির 'অরোব্লু' নামক ওষুধ রোগীদের চোখে ব্যবহার করা হয়, যাতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ছিল।
গত ৫ মার্চ চুয়াডাঙ্গা শহরের ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে, ২৪ জন রোগী তাদের চোখের অস্ত্রোপচার করে। পরবর্তীতে তীব্র যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পড়ে, অস্ত্রোপচার করা ১০ জন নারী ও ১০ জন পুরুষ।
এরপর ঢাকার ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য পাঠায় বেসরকারি হাসপাতালটি। সেখানে যন্ত্রণা নিরসনে এবং অন্য একটি চোখ বাচাতে প্রত্যেকেরই একটি করে চোখ তুলে ফেলা হয়। দরিদ্র এই মানুষগুলো ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি এই দুর্ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।
চিকিৎসা নেয়া এক বৃদ্ধ বলেন, 'অপারেশন করার পর চোখে প্রচণ্ড জ্বালাপোড়া শুরু হয়ে যায়।'
আরেকজন বলেন, 'ওরা আমাকে খবর দিয়ে সকাল ছয়টার দিকে ঢাকায় নিয়ে গেলো। সেখানে নিয়ে গিয়ে একটা চোখ তুলে দিলো।'
ইতোমধ্যে অভিযুক্ত হাসপাতালটির সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার পাশাপাশি ঘটনা তদন্তের তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা সিভিল সার্জন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চক্ষু কনসালটেন্ট ডা. মো. শরিফুজ্জামান সুমন বলেন, 'আমরা সরজমিনে হসপিটাল পরিদর্শন করবো এবং তারপরেই বলা যাবে যে, কি কারণে এটি ভয়াবহ আকার ধারণ করলো। সেখানে অনেক কারণ থাকতে পারে। আমরা সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবো।'
হাসপাতালটির প্রশাসক ডা. শফিউল কবিরের দাবি, ভারতীয় অরোল্যাব কোম্পানির অরোব্লু নামের ওষুধের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াই এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি আগামী ২ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস