চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় সদ্য প্রসূ'ত জান্নাতুলকে মৃ'ত ঘো'ষণা করা হয়েছিল। এরপর অয'ত্নে রেখে দেয়া হয়েছিল খালি মেঝের ওপর। তারপর পলিথিনে মোড়ানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল হাসপাতালের আয়ারা!
এ সময় মায়ের ইচ্ছে হলো শেষবারের মতো একবার কোলে নিয়ে দেখি সন্তানকে। অমনিই মায়ের কোলে ন'ড়ে উঠল সদ্যভূমি'ষ্ঠ জান্নাতুল। আবার ডা'কা হল ডাক্তার।
ডাক্তার এসে শিশু জান্নাতুলকে স্থা'নান্ত'র করলেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। সেখানে সুস্থ হয়ে উঠেছে জান্নাতুল। হাত-পা নে'ড়ে খেলছে। পি'টপি'ট করে তাকা'চ্ছে। মায়ের চোখেমুখে এক কাড়ি হাসি।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাজরাহাটি গ্রামের মুদি দোকানি আবদুল হালিম ও জিনিয়া খাতুনের বিয়ে হয় বেশ কয়েক বছর আগে। এরই মধ্যে জিনিয়ার গ'র্ভে সন্তান আসে। তাকে নিয়মিত চে'কআপ করতেন জেলা শহরের উপশম নার্সিং হোমের স্বত্বাধিকারী ডা. জিন্নাতুল আরা।রোববার বিকালে জিনিয়ার পেটে ব্য'থা শুরু হলে তাকে নেয়া হয় ডা. জিন্নাতুল আরার কাছে। সেখানে তার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন জিনিয়া। ভোর ৪টার দিকে কন্যাসন্তান প্রস'ব করেন জিনিয়া খাতুন।
জিনিয়া খাতুন বলেন, ‘ভোরে আমাকে বলা হলো বাচ্চা মা'রা গেছে। এরপর আমরা পরিবারের অন্যান্যকে জানাই। দা'ফন কা'ফনের জন্যও প্রস্তুতি নিতে থাকে স্বামী ও স্বজনরা। এরই মধ্যে শিশুটিকে অয'ত্ন অবহে'লায় মেঝের ওপর রে'খে দেয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘মৃ'ত বলে তাকে একটি পলিথিন এনে মু'ড়িয়ে ফেলা হচ্ছিল। এ সময় আমি কাঁ'দতে কাঁ'দতে মেয়েকে একবার শেষবারের মতো কোলে নিয়ে দেখতে চাই। কোলে নিতেই আমার মেয়ে নড়ে ওঠে। এ সময় পুনরায় ডা. জিন্নাতুল আরাকে ডাকা হলে তিনি শিশুকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেন।’
জিনিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি ডাক্তারের কথায় বিশ্বাস করলে পলিথিনের মধ্যে আমার মেয়ে ম'রে থাকত।’এদিকে সোমবার সকালে ওই শিশুকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এরপর বিষয়টি ছ'ড়িয়ে পড়ে।
শিশুর দাদি শাহারন বেগম বলেন, ‘ও সাত মাসে জন্ম নিয়েছে। আমি ওর নাম রেখেছি জান্নাতুল। সে এখন ভালোই আছে। হাত-পা নে'ড়ে খেলছে। পি'টপি'ট করে তা'কাচ্ছে। আমার বিশ্বাস জান্নাতুল বেঁ'চে থাকবে।’
এ ব্যাপারে হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকন বলেন, ‘সময় হওয়ার আগেই শিশুটি জন্ম নিয়েছে। তাকে ইন'কিউবে'টরের মধ্যে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আপাতত সে সুস্থ আছে। তবে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না’।
এ ব্যাপারে ডা. জিন্নাতুল আরা বলেন, ‘শিশুটি যখন হয় একেবারেই শ্বা'স-প্রশ্বা'স ছিল না। নাভির কাছে কেবল ঢিবঢিব শব্দ ছিল। চার ঘণ্টা অক্সিজেন দেয়ার পর সে কিছুটা সুস্থ হলে আমরা আজ (সোমবার) চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দিই।