চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ভেমরুল্লাহ গ্রামে বিয়ের দুই মাস ১০ দিনের মাথায় পুত্র সন্তান জন্ম দিয়েছেন এক নারী। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার (২ জানুয়ারি) রাতে ভেমরুল্লাহ গ্রামের পুরাতন মসজিদ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নবজাতক ও মা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ভিমরুল্লাহ গ্রামের পুরাতন মসজিদ পাড়ার মোস্তাকিমের সঙ্গে ২ মাস ১০ দিন আগে আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের মাঠপাড়ার ওই নারীর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের এক ঘটকের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা কোনো ভাবেই বুঝতে পারেননি যে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। শনিবার (২ জানুয়ারি) রাতে ওই নারীর একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।
মোস্তাকিম এ বিষয়ে বলেন, ‘বিয়ের পর আমার স্ত্রী বিভিন্নভাবে বিষয়টি এড়িয়ে যেত। তাই আমার পক্ষে বুঝে ওঠা সম্ভব হয়নি।’ রোববার দুপুরে ওই নারীকে তালাক দেন স্বামী মোস্তাকিম।
সন্তান জন্ম দেয়া ওই নারী বলেন, ‘কয়রাডাঙ্গা গ্রামের মাঠপাড়ার প্রতিবেশী আশিক (২০) একদিন কিছু একটা দেখানোর জন্য তার ঘরে যেতে বলে। আমি সেখানে গেলে আশিক আমাকে ধর্ষণ করে এবং এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে। লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি কাউকে জানায়নি। রোববার দুপুরে জোরপূর্বক তালাক নামায় সাক্ষর নিয়ে আমাকে তালাক দিয়েছে। তালাক দিলেও এখনো দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করেনি। আমি আমার পুত্র সন্তানের স্বীকৃতি চাই।’
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর খোকন বলেন, ‘আলোকদিয়া গ্রামের এক ঘটকের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যায় ওই মেয়ে ও তার পরিবারের সদস্যরা। শনিবার রাতে শ্বশুরবাড়িতে পুত্র সন্তান প্রসব করে। পরে বিষয়টি উভয়পক্ষের মধ্য মিমাংসা হয়েছে। হাসপাতাল এলাকায় উভয় পক্ষের সম্মতিতে তালাক হয়েছে বলে শুনেছি।’
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’