চুয়াডাঙ্গা : জেলার দামুড়হুদা উপজেলা সদরের ব্র্যাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির চার ছাত্রীর নামে ফেসবুক আইডি খুলে তাদের অশ্লিল ছবি ও আপত্তিকর স্ট্যাটাস পোস্ট করার অপরাধে মেহেদী হাসান জুম্মা (১৪) নামে এক কিশোরকে ১০ হাজার টাকা জরিমান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদুর রহমান ওই ছাত্রকে দোষী সাব্যস্থ করে এ জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি সূত্র জানায়, দামুড়হুদা-চুয়াডাঙ্গা সড়কের পার্শ্বে দামুড়হুদা ব্র্যাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ৪ ছাত্রী অন্যান্য দিনের মতো সোমবার সকালে স্কুলে যাচ্ছিল।
এসময় দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হামিদ মোল্লা ওরফে হামে মোল্লার বখাটে ছেলে মেহেদী হাসান জুম্মা অন্যান্য দিনের মতো তাদের বিভিন্নভাবে কথাবার্তা বলে টিচ করে।
জুম্মার এসব কথাবর্তায় অপমানিত হয়ে ৪ ছাত্রী একসঙ্গে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদুর রহমানের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ করে।
তারা জানায়, হামে মোল্লার বখাটে ছেলে মেহেদী হাসান জুম্মা তাদের স্কুলে যাওয়া আসার পথে বিভিন্নভাবে টিচ করে। জুম্মা তাদের নামে ফেসবুকে ফেক আইডি খুলে অশ্লিল ছবি ও আপত্তিকর স্ট্যাটাস পোস্ট করে এবং বিভিন্নজনের সাথে আপত্তিকর চ্যাট করে।
৪ ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসান উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদুর রহমান। আদালতে হাজির করা হয় জুম্মাকে।
আদালত জুম্মার মোবাইল ফোন সার্চ করে ৪ ছাত্রীর নামে ফেসবুকে ফেক আইডি খুলে ব্যবহার করা ও বিভিন্ন অশ্লিল ছবি, আপত্তিকর স্ট্যাটাস ও চ্যাট করার প্রমাণ পান।
সংবাদ পেয়ে হামে মোল্লার স্ত্রী জুম্মার মা ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির হয়ে ছেলের হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সবদিক বিবেচনা করে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় জুম্মাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ১৪ বছর বয়সের মেহেদী হাসানকে সাইবার ক্রাইম বা তথ্য আইনে বিচার না করে তাকে ইভটিজিং আইনের দণ্ডবিধির ৫০৯ ধারায় দোষী সাবস্থ্য করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
২০ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম