কক্সবাজার : কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল উপকূল থেকে ছয় জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সাথে একটি বিধ্বস্ত ফিশিং বোট উদ্ধার করেছে স্থানীয় লোকজন। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে আরও সাত জেলেকে। নিখোঁজ রয়েছেন একজন। নিহত জেলেরা সবাই কক্সবাজারের খুরুশকুল, মহেশখালী ও টেকনাফের বাসিন্দা।
রবিবার সন্ধ্যা খুরুশকুল জালিয়াপাড়া রাখাইন ঘাট নামক স্থান থেকে এসব জেলেদের উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই খুরুশকুল জলসিড়ি আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা।
জানা গেছে, রবিবার ভোর রাতে কক্সবাজার শহরের নাজিরার টেক মোহনায় দুটি ফিশিং বোটের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এফবি মায়ের দোয়া বোটটি ডুবে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ছয় জেলের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে স্থানীয় চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন।
কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল মামুনপাড়ার বাসিন্দা নওশাদ আনাস শান্ত জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এফবি মায়ের দোয়া নামের বিধ্বস্ত একটি বোট খুরুশকুল জালিয়াপাড়া উপকূলে ভেসে আসে। ওই বোট থেকে ছয় জেলের মৃতদেহ ও সাতজন জীবিত উদ্ধার করা হয়। নিহতের মধ্যে দুই জনের পরিচয় শনাক্ত করেছেন স্থানীয়রা। এদের মধ্যে একজন রহমত উল্লাহ ও অপরজন মো. কবির বলে জানা গেছে।
ঘটনাস্থল থেকে খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, রবিবার ভোররাত ৩টার দিকে কক্সবাজার শহরের নাজিরার টেক মোহনায় খুরুশকুল এলাকার বাসিন্দা আবু তাহেরের মালিকানাধীন এফবি মায়ের দোয়ার সাথে মহেশখালী এলাকার কালাইয়া বহদ্দার নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন ফিশিং বোটের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে এফবি মায়ে দোয়া সাগরে ডুবে যায়। রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ বিধ্বস্ত বোটি খুরুশকুল জালিয়াপাড়া রাখাইনপাড়া ঘাটে ভেসে আসে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অপারেশন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আবদুর রহিম জানান, জেলেরা সন্ধ্যায় ডুবে যাওয়া নৌকাটি উদ্ধার করে। নৌকার ভিতরে ছয় জেলের লাশ পাওয়া গেলেও একজনের লাশ পানিতে ভেসে গেছে। উদ্ধার হওয়া ছয় জেলের মধ্যে একজন কক্সবাজারের টেকনাফ, একজন মহেশখালী এবং অপর চারজন খুরুশকুল ইউনিয়নের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে চারজনের নাম জানা গেছে। তারা যথাক্রমে- রহমত উল্লাহ (৩০), তারেক আহমদ (৩২)মোহাম্মদ ইসহাক (২৮) ও কবির আহমদ (৩৩)।
২২ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম