মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০৭:১৮:২২

তবুও আল্লাহকে ভরসা করে সিজদা করতে ভুলে না রোহিঙ্গারা

তবুও আল্লাহকে ভরসা করে সিজদা করতে ভুলে না রোহিঙ্গারা

নিউজ ডেস্ক : মিয়ানমারের আরাকান এখন অগ্নিরাজ্য। গ্রামের পর গ্রাম পুড়ে ছারখার হচ্ছে। মরছে শত শত নিরীহ, নিরস্ত্র মুসলমান। মৃত্যুর ভয়ে দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে তারা। ফেলে আসছে প্রিয়জনদের। তাদের মধ্যে কেউ জীবিত, কেউ মৃত।

বাপ-দাদার বসতভিটা, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ- এমনকি কলিজার টুকরা সান্তানকেও হারাতে হচ্ছে তাদের। দিনের পর দিনে নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। প্রাণ ভয়ে আরাকান রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলমানরা আশ্রয় নিচ্ছে টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে। কেউ তাদের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে গোঁজার ঠাঁই। কেউবা খাবার, কাপড় আর ওষুধ দিচ্ছেন।

ছয় থেকে আট হাতের একটি জায়গায় গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে ৫-৬ জনের একটি পরিবারকে। এতো অল্প স্থানে এতো মানুষের চাপ, সেই সঙ্গে চরম দুর্ভোগ-দুর্দশার মধ্যেও সৃষ্টিকর্তাকে সিজদা করতে ভুলছেন না রোহিঙ্গা মুসলমানরা।

গেল শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে নিজেদের ছোট্ট মাথা গোঁজার স্থানেই তারা বানিয়েছে অস্থায়ী মসজিদ। সেখানেই তাদের দেখা গেছে জুমার নামাজ আদায় করতে। ইমামতি করেন আরাকান থেকে শরণার্থী হিসেবে আসা জনৈক রোহিঙ্গা মুসলমান। যিনি একজন মাওলানাও।

জুমার নামাজের আগে খুতবায় মিয়ানমারের মানুষের জন্য আল্লাহর কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। যে তাদের জীবনে এমন বিভীষিকা আর না নেমে আসে। নামাজ শেষে আরাকানে নির্যাতিত সকলের জন্য দোয়া করেন। দোয়া করেন নির্মমভাবে নিহত প্রিয়জনদের জন্য। শুধু নিজেদের জন্যেই নয়, তাদের আশ্রয় দেয়া আর সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের মানুষের জন্যও দোয়া করেন।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে