নিউজ ডেস্ক : সম্প্রতি মিয়ানমার সেনা ও বিজিপির নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গারা নিজ জন্মভূমি ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয় উখিয়ার বিভিন্ন স্থানে। তাবু করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আশ্রয় নিলেও চরম অভাব অনটন, মানবিক বিপর্যয় দেখা দেয় রোহিঙ্গা ঝুপড়িতে।
বুধবার (২০ সেপ্টম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় উখিয়ার বালুখালী তেলিপাড়া খালে একটি লাশ ভাসতে দেখে খালের পাড়ে তাবু করে বসবাসরত রোহিঙ্গা মিয়ানমারের মংডু সিকদারপাড়া বাসিন্দা আব্দু ছত্তারের ছেলে নুর মোহাম্মদ (৫০)। সে বলেন, ওই অজ্ঞাত লাশটির বয়স আনুমানিক পয়ষট্টির কাছাকাছি। পাহাড়ী ঢলের পানিতে আমরা লাশটি ভেসে যেতে দেখে বাঁশ দিয়ে ধরে খালের পাড়ে নিয়ে আসি। পরে কাফনের কাপড় জোগাড় করতে না পারার ভয়ে লাশটি পুনরায় পানিতে ভাসিয়ে দিই।
একই কথা শত শত প্রত্যক্ষদর্শী রোহিঙ্গার। তবে লাশটির কোন পরিচয় বা অভিভাবকের কোন খোঁজে পাওয়া যায়নি। গত ৩ দিনের বৃষ্টির পানি ও পাহাড়ি ঢলে উখিয়ার কুতুপালং, বালুখালী, কাস্টমস, থাইংখালী ঢালারমূখ, থাইংখালী তাজনিমারখোলা, হাকিমপাড়া, বাঘঘোনা এবং পালংখালীর শফিউল্লাহ কাটায় অন্তত ১০হাজার রোহিঙ্গার তাবু পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে অর্ধলক্ষাধিক রোহিঙ্গা ঘরবাড়ী ছেড়ে খোলা আকাশের নিচে বন, জঙ্গল, পাহাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এসব পরিবার গুলোতে দেখা দিয়েছে খাদ্য, ঔষুধ, পানি এবং বাসস্থান সংকট। যার ফলে মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়ে পড়েছে রোহিঙ্গারা।
উল্লেখ্য, গত ২৪ আগস্ট মিয়ানমারে সহিংসতায় এই পর্যন্ত ১২ জন মায়ানমার দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও ৩ হাজারের অধিক রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ, শিশু মারা গেছে। জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে ৪ লাখ ৯ হাজার রোহিঙ্গা। তবে এই সংখ্যা মানতে নারাজ স্থানীয় উখিয়াবাসী। তাদের তথ্য মতে, এই পর্যন্ত উখিয়ায় প্রায় ৫ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস