নিউজ ডেস্ক : মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা নিপীড়িত মুসলিম রোহিঙ্গাদের মধ্যে রয়েছে অগণিত শিশু। প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৬০ শতাংশই শিশু, যা আসলে গণনার বাইরেই বলা চলে। সেই অগণনাযোগ্য শিশুদের তালিকায় উঠে এসেছে এক শিশুর ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা আবদুল হামিদ যার প্রশস্ত হাসি আর চোখের চাহনিতে স্পষ্ট ফুটে ওঠে প্রাপ্ত বয়স্কের ছায়া। অল্প বয়সেই হামিদ তার জীবনে এমন কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করেছ, যা অন্য কারো জীবনে ঘটে নি। চোখের সামনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হাতে নিষ্ঠুরভাবে সে তার বাবাকে মরতে দেখেছে। তাদের ঘরবাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সংহিসতায় সে তার ডান হাতের দুটো আঙ্গুলও হারিয়েছে।
জীবনের সর্বস্ব হারিয়ে সে তার মা ও ছোট চার ভাই বোনদের নিয়ে রাখাইন প্রদেশ থেকে জীবন বাঁচাতে একটি জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। সেখানে না খেয়ে দুইদিন কাটানোর পর রাতের অন্ধকারে মা ও ভাইবোনকে নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয় পায়ে চলা পাথুরে পথ ও নদী।
অবশেষে বাংলাদেশের একটি শরণার্থী শিবিরে হাজারো মুসলিম রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ঠাঁয় মেলে হামিদ ও তার পরিবারের। বাবাকে হারানোর পর মা আর ভাইবোনের দায়িত্ব এসে পড়েছে তার কাঁধে। তাদের খাবারের ব্যবস্থা করাই এখন তার একমাত্র গুরুদায়িত্ব। তাই তো বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শিবিরের আশেপাশের রাস্তায় হাজারো রোহিঙ্গা শিশুদের সঙ্গে ত্রাণের গাড়ির অপেক্ষায় থাকে হামিদ। যা তাকে মোটেও ক্লান্ত করে না বলে জানায় সে।-গল্ফ নিউজ
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস