সাজ্জাদুল হক : বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এবং তমব্রু সীমান্ত ঘেঁষে কয়েকটি পয়েন্টে দেশটির সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে গত দু’দিন ধরে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করছে মিয়ানমারের শ্রমিকরা। সে সাথে ওই কাঁটা তারের বেড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে সীমান্তবর্তী বাংলাদেশী এবং রোহিঙ্গারা।
আর, এই ঘটনাকে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে দেখছেন মানবাধিকার কর্মীরা।
শুক্রবার ঘুমধুম সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করার পর শনিবার সকাল থেকে আমতল সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনের কাজ শুরু করে তারা। এসময় পাশ্ববর্তী একটি পাহাড়ে অবস্থান নিয়েছিলো মিয়ানমার বাহিনীর কয়েকজন সদস্য। মেরামতের নামে নতুন করে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন এবং সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা এবং সীমান্তে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা।
গত ২৩ আগষ্ট মিয়ানমারে সংঘাত শুরু হলেও ২৫ আগষ্ট থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসতে শুরু করে। এর মাঝে সাড়ে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করলেও কিছু কিছু রোহিঙ্গা এখনো জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে আছে। কাঁটাতারের বেড়াকে বিদ্যুৎ তাড়িত করায় স্থানীয়দেরকেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। এছাড়া বিষয়টি চরম অমনাবিক বলে মন্তব্য করেছেন সীমান্ত পরিদর্শনে আসা মানবাধিকার কর্মীরা।
কাঁটাতারের বেড়াকে বিদ্যুৎ তাড়িত করার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য না করলেও মিয়ানমারের এ আচরণের উপর কড়া নজর রাখছে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি।
বাংলাদেশ-মিয়ানমারের ২০৮ কিলোমিটার সীমান্তের কিছু কিছু অংশে আগে থেকেই কাঁটাতারের বেড়া থাকলে তেমন তদারকি ছিলো না। কিন্তু রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে চলে আসার পর সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করে মিয়ানমার বাহিনী।-আমাদের সময়/সময় টিভি
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস