নিউজ ডেস্ক : সাধারণ অবস্থায় আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে সেনাবাহিনীর কোন ভূমিকা রাখা বা অভিযান পরিচালনার কথা নয়। বেসামরিক প্রশাসন যদি কোন বিষয়ে সহায়তা চায় তাহলে সে ক্ষেত্রেই কেবল সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করতে পারে।
তাহলে পুলিশের ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ (ডিবি) এর কিছু সদস্য কক্সবাজারে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ১৭ লাখ টাকা আদায়ের পর সেনাবিাহিনী কীভাবে ওই পুলিশ সদস্যদের আটক করতে পারলো?
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রোহিঙ্গা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কক্সবাজারের বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করছে সেনাবাহিনী। এর অংশ হিসেবে রাস্তায় তাদের কিছু চেকপোস্ট আছে। মূলতঃ রোহিঙ্গারা যাতে ক্যাম্প ছেড়ে বাংলাদেশের অন্য জায়গায় চলে যেতে না পারে সেজন্যই এ ব্যবস্থা।
আর ওই চেকপোস্ট থাকার কারণেই অভিযোগের ভিত্তিতে সেনা সদস্যরা ১৭ লাখ টাকাসহ ডিবি সদস্যদের গাড়িতে তল্লাশি করতে পারে। অভিযোগের সত্যতা মেলায় তারা ছয় ডিবি সদস্যকে টাকাসহ পুলিশ প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করে। পালিয়ে যাওয়া এক ডিবি সদস্যকে পরে পুলিশ তাদের হেফাজতে নেয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টেকনাফের ব্যবসায়ী আব্দুল গফুর মঙ্গলবার দুপুরে আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার জন্য কক্সবাজার শহরে গিয়েছিলেন। তখন ডিবি সদস্যরা তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা আব্দুল গফুরের বড় ভাই এবং টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর মনিরুজ্জামানের কাছে এক কোটি টাকা দাবি করেন। শেষ পর্যন্ত তাদের চাওয়া ৫০ লাখ টাকা হলেও গফুরের পরিবার ১৭ লাখ টাকা যোগাড় করতে পারে। ওই টাকা পাওয়ার পর ডিবি সদস্যরা গফুরকে ছেড়ে দেন।
তবে, এর আগেই মনিরুজ্জামান সড়কে সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা চৌকিকে বিষয়টি জানায়। প্রথম তিনি যেখানে গিয়েছিলেন সেই চেকপোস্টটি উপযুক্ত জায়গায় না হওয়ায় তারা অন্য একটি চৌকিতে যেতে বলেন। মনিরুজ্জামান পরে যে চেকপোস্টটিতে যান তারা বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে ডিবি সদস্যরা ভোর ৪টার দিকে টেকনাফ থেকে টাকা নিয়ে ফেরার পথে তাদের গাড়িতে তল্লাশি চালায়।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস