কক্সবাজার থেকে : রামুতে পরকীয়ার জেরে বাংলাদেশি নাগরিককে কুপিয়ে হত্যা করেছেন রোহিঙ্গা যুবক। শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার ২নং ওয়ার্ডের পশ্চিম দারিয়ারদিঘী হেডম্যানপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বাংলাদেশি আবদুল জব্বার (২৮) ওই এলাকার রশিদ আহমদ ফকিরের ছেলে। পুলিশ এ ঘটনায় ২জনকে আটক করেছে। তারা হলেন- উপজেলার খেদারঘোনা এলাকার রোহিঙ্গা মীর আহমদের ছেলে জিয়াবুল হক এবং মালয়েশিয়া প্রবাসী শামসুল আলমের স্ত্রী পরকীয়ায় লিপ্ত ভেলুয়ারা বেগম (২৮)।
জিয়াবুর হক সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে তিনি তারা বাবার সাথে বাংলাদেশে আসেন। সম্পর্কে ভেলুয়ারা বেগমের ভাতিজা জিয়াবুর। আবদুল জব্বারের ভগ্নিপতি সুলতান আহমদ ও চাচা রমিজ আহমদ জানান, ভেলুয়ারা বেগম একজন রোহিঙ্গা নারী। তিনি তার পরিবারের সঙ্গে অনেকদিন আগে বাংলাদেশে আসেন। এই এলাকার শামসুল আলম ভেলুয়ারাকে বিয়ে করেন।
পরে শামসুল আলম মালয়েশিয়া চলে যান। এই সুযোগে ভেলুয়ারা বেগমের সঙ্গে আবদুল জব্বারের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শুক্রবার রাতে ভেলুয়ারের কক্ষে ঢুকেন জব্বার। এসময় তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন ভেলুয়ারা বেগমের ভাতিজা জিয়াবুল হক। তখন ক্ষিপ্ত হয়ে জিয়াবুল হক দা দিয়ে আবদুল জব্বারের মাথায় কোপ দেন।
ঘটনাস্থলেই মারা যান আবদুল জব্বার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রামু থানার এসআই ছানা উল্লাহ। তিনি লাশ উদ্ধার এবং জনতার সহায়তায় জিয়াবুল হক এবং পরকীয়ায় লিপ্ত ভেলুয়ারা বেগমকে আটক করেন।
এসআই ছানা উল্লাহ জানান, পরকীয়ার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রামু থানার ওসি এম লিয়াকত আলী হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা রুজু করা হবে।
এমটিনিউজ/এসএস