কক্সবাজার থেকে : কক্সবাজারের উখিয়ায় শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ত্রান দিতে গিয়ে এক নারীর মুখে মিয়ানমান সেনাবাহিনীর নির্যাতনের বর্ণনা শুণে কিছুক্ষনের জন্য আবেগআপ্লুত হয়ে পড়েন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
এসময় তিন-চার মাস বয়সী এক রোহিঙ্গা শিশুকে কাছে টেনে কোলে তুলে আদর করেন। ওই শিশুর নাম মোবারক। বিএনপি চেয়ারপারসন রোহিঙ্গা শরনার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে এবং আল্লাহকে স্মরণ করতে বলেন।
উখিয়ায় বেলা ১টার দিকে খালেদা জিয়া যখন শফিউল্লাহ কাটার ময়নারগোনা ক্যাম্পে পৌঁচ্ছান, এর আগে থেকে সেখানে হাজারো রোহিঙ্গা শরণার্থী অপেক্ষা করছিলো ত্রান নিতে। বিএনপি নেত্রীর উপস্থিতিতে ঘিরে পুরো ক্যাম্পে তখন নেতাকর্মী, স্থানীয় মানুষ আর রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মিলে সমাবেশ স্থলের রূপ নেয়। ভিড় ঠেলে খালেদা জিয়া ত্রান দেয়ার স্থানে পৌঁচ্ছেই অপেক্ষারত শরনার্থীদের মাঝে ত্রান দেন।
এসময় বিএনপির শীর্ষ নেতারা তার পাশে ছিলেন। ত্রান দেয়ার এক পর্যায়ে এক রোহিঙ্গা নারী মোবারকের মা মিয়ানমার সরকারের নির্যাতনের বর্ণনা করে কান্নায় ভেঙে পড়েন। খালেদা জিয়া সেই কাহিনী শুনে কিছুক্ষনের জন্য আবেগআপ্লুত হয়ে পড়েন।
বিএনপি প্রধান তাদের ধৈর্য্য ধরার পরামর্শ দেন এবং আল্লাহকে স্মরণ করার পরামর্শ দেন। পরে তিনি তার বক্তব্যে বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর যে ধরনের হামলা হয়েছে তা অমানবিক। তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মানুষ খুন করা হয়েছে। নারীদের ওপর অবর্নণীয় নির্যাতন করা হয়েছে। এসবই বিশ্ব গণমাধ্যমে এসেছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীরা যাতে নির্ভয়ে তাদের দেশে ফিরে যেতে পারে সেজন্য বিএনপি প্রধান মানবিকতার স্বার্থে বিশ্বসম্প্রদায়ের প্রতি ব্যবস্থা গ্রহনের আহবান জানান।
এরপর খালেদা জিয়া আরো তিনটি স্থানে নিজ হাতে ত্রান দেন। শেষে বালুকালী পানবাজারে বিএনপির তত্ত্বাবধায়নে ডক্টর এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব পরিচালিত রোহিঙ্গাদের জন্য অস্থায়ী মেডিক্যাল ক্যাম্পের আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধন করেন।
ত্রান বিতরন শেষে বিকেল সোয়া চারটার দিতে কক্সবাজার সার্কিট হাউজে পৌঁচ্ছান তিনি। এখানে দুপুরের খাবার খেয়ে তিনি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের উদ্দেশ্য রওনা দেবেন। সেখানে রাত্রিযাপন শেষে মঙ্গলবার সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম ছাড়বেন।
এমটিনিউজ/এসএস