খোকন বড়ুয়া: কক্সবাজার, টেকনাফ, উকিয়া ও নাক্ষ্যংছড়ি শরণার্থী ক্যাম্পে জন্ম নেয়া রোহিঙ্গা শিশুরা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাচ্ছে। বিদ্যমান আইনটি বিলুপ্তির প্রস্তাব করে নতুন নাগরিকত্ব আইন ২০১৭ খসড়ায় এই বিধানটি সংযুক্ত করা হয়েছে। নতুন আইনের খসড়ায় জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব লাভের ক্ষেত্রে জন্ম নেয়া শিশুর পিতা-মাতার নাগরিকত্ব থাকার শর্তটি বাদ দিয়ে নতুন করে বিধানটি প্রস্তুত করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, ২০১৬ সালে মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদিত খসড়ায় জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে এ ধরনের বিধান ছিল না। আইন মন্ত্রণালয় বর্তমানে এই বিধানটি (জন্মসূত্র) যুক্ত করছে। নতুন আইন অনুযায়ী যেকোনো শিশু বাংলাদেশে জন্ম নিলে ওই শিশু জন্মসূত্রে বাংলাদেশী নাগরিকত্ব লাভ করবে।
২০১৬ সালে মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদিত খসড়ায় জন্মগত সূত্রে নাগরিকত্ব লাভের ক্ষেত্রে ভূমিষ্ঠ শিশুর পিতা-মাতাকে ১৯৭১ সালে বা তার পরে বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার বাধ্যবাধকতার বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু মন্ত্রিসভার কিছু নির্দেশনা সংযোজনের জন্য নাগরিকত্ব আইনের ফাইলটি আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়। এতে নতুন আইনের খসড়ায় জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব লাভের ক্ষেত্রে শিশুর পিতা-মাতার নাগরিকত্ব থাকার শর্তটি বাদ দিয়ে নতুন করে বিধানটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
জানা গেছে, ১৯৫২ সালের বিধানে জন্মগতসূত্রে নাগরিকত্ব লাভের বিধান রয়েছে। বর্তমানে নতুন আইনের খসড়ায়ও এ বিধানটি রাখা হয়েছে। কিন্তু নতুন আইনের খসড়া প্রস্তুত করা হলেও আগের আইনটা বাতিল করা হয়নি।
নতুন খসড়া বা ১৯৫২ সালের নাগরিকত্ব আইন কার্যকর থাকলে সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর লক্ষাধিক শিশু বাংলাদেশের নাগরিকত্ব লাভ করবে। এ ক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে (মিয়ানমার) ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে আইনগত জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা। সংশ্লিষ্ট এক তথ্য মতে, বাংলাদেশের আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রায় ৭৩ হাজার মহিলা গর্ভবতী আছেন। তারা প্রতিদিন গড়ে ১৬ থেকে ২০টি শিশুর জন্ম দিচ্ছেন।-নয়া দিগন্ত
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস