কক্সবাজার থেকে : চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে কক্সবাজারে এপর্যন্ত চারজন ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। তবে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
তারা বলছেন, পুলিশের খাতায় পলাতক হলেও মাদক ব্যবসায়ীরা এতদিন প্রকাশ্যেই ঘোরাফেরা করতো। মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর প্রশাসন অভিযানে নামায় তারা আত্মগোপনে চলে গেছে।
দেশের শীর্ষ ‘ইয়াবা ডন’ হিসেবে পরিচিত দুই মাদক ব্যবসায়ী মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর পালিয়ে গেছে। গত দুই সপ্তাহ আগেও টেকনাফে তাদের বিচরণ ছিল। এখন তাদের এলাকায় দেখা যায় না।
এলাকাবাসীর ধারণা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান শুরু হলে এদের কেউ মালয়েশিয়া বা দুবাই, আবার কেউ মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে পালিয়ে যায়। তাদের প্রত্যেকের ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও টেকনাফে গাড়ি-বাড়ি-ফ্ল্যাট ও জমি রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, তারা ছিলেন গাড়ির হেলপার ও চালক। এখন তারা বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক। তাদেরও রয়েছে একাধিক বাড়ি, গাড়ি, জমিসহ অঢেল সম্পদ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তৈরি মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকায় তাদের নাম শীর্ষ স্থানে রয়েছে।
পাঁচ বছর আগেও তারা কর্মহীন অবস্থায় এলাকায় বেকার ঘুরতো। এখন নতুন মডেলের দামি গাড়ি করে চলাফেরা করে তারা। তাদের বসতবাড়িতে রাতারাতি গড়ে তুলেছে বিলাসবহুল বাড়ি।
র্যাব কক্সবাজারের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. রুহুল আমিন বলেন,‘আমরা সার্বক্ষণিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আফরুজুল হক টুটুল বলেন, ‘শুধু এখন নয়, প্রতিনিয়ত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। টেকনাফে শীর্ষ যে কজন ইয়াবা ব্যবসায়ী রয়েছে, তাদের প্রত্যেকের বিষয়ে কয়েকবার অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। কিন্তু, বরাবরের মতো পুলিশের হাত ফসকে তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে। চলমান অভিযানে অবশ্যই তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’
এমটিনিউজ/এসএস