চকরিয়া (কক্সবাজার): বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদের নিজ উপজেলা কক্সবাজারের পেকুয়ায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অন্তত আড়াই শতাধিক নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। এ সময় তারা বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রেখে আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে তারা একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আজ সোমবার রাতে পেকুয়া সদরে অনুষ্ঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মীসভায় প্রধান অতিথি কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট প্রার্থী আলহাজ্ব জাফর আলমের হাতে ফুলের তোড়া ও নৌকা উপহার দিয়ে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের এসব নেতাকর্মী আওয়ামী লীগের ছায়াতলে আসেন। আওয়ামী লীগের কর্মীসভায় কক্সবাজার জেলা, চকরিয়া, পেকুয়া ও মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
যোগদানকৃত বিএনপির সিনিয়র নেতাদের মধ্যে রয়েছেন পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আবদুর রহিম, উজানটিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলাম, পেকুয়া সদর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি বোরহান উদ্দিন।
আওয়ামী লীগে যোগদানকারী উপরোক্ত তিন নেতা জানান, তাদের সঙ্গে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের অন্তত আড়াই শতাধিক নেতাকর্মী আজ আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন।
কেন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন? এমন প্রশ্নে তারা বলেন, গত দশবছর ধরে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে সারাদেশে অভুতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। কক্সবাজার তথা চকরিয়া ও পেকুয়া ইতোপূর্বে বিএনপির ঘাঁটি হলেও উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনো ধরণের বৈষম্য করেননি। তদুপরি বড় বড় মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে কক্সবাজারেই। সেখানে আমাদের পেকুয়ায়ও বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। তাই উন্নয়নের জন্য আবারো শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনা উচিত। এজন্য বিএনপি ছেড়ে আমরা আওয়ামী লীগে এসেছি।
তারা আরো বলেন, কক্সবাজার-১ আসনে এবার আওয়ামী লীগ তথা নৌকার প্রার্থী হিসেবে চকরিয়া-পেকুয়ার গণমানুষের নেতা জাফর আলম ভাইকে মনোনয়ন দেওয়ায় আমরাও খুশি। কারণ তিনিই পারবেন এই আসনে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত করতে। এজন্য আমরাও তার হাত ধরে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছি নৌকাকে বিজয়ী করতে।
পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, পেকুয়া উপজেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদের নিজ গ্রাম। সারাদেশের মানুষ জানতো এই এলাকা বিএনপির ঘাঁটি। তবে বর্তমানে সেই দুর্গ আর নেই বিএনপির। গত দশবছর ধরে জাফর আলমের নেতৃত্বে এখানে আওয়ামী লীগের সমর্থন কয়েকগুন বেড়েছে। আজ নতুন করে বিএনপির প্রায় আড়াই শতাধিক নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে দেখিয়ে দিলো পেকুয়ার আনাচে-কানাচেও আওয়ামী লীগের সমর্থন এখন আগের চাইতে বেশি। যা আগামী ৩০ ডিসেম্বর নৌকার পক্ষে ব্যালট বিপ্লবে প্রমাণ হবে।
কক্সবাজার-১ আসনে মহাজোট প্রার্থী জাফর আলম বলেন, দল-মত নির্বিশেষে চকরিয়া ও পেকুয়ার মানুষ ভীষণভাবে আমাকে ভালবাসে। একইসঙ্গে দলের প্রধান ও দেশরত্ম শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা-বিশ্বাস রেখে তারা আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করায় বিএনপি নেতাকর্মীকে বরণ করে নিয়েছি। এ সময় তাদেরকে দলের আদর্শ বুকে ধারণ করে আগামীতে নৌকাকে বিজয়ী করতে মাঠে কাজ করার নির্দেশ দিই।