নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা শরণার্থী শিবির থেকে কাজের সন্ধানে ক্যাম্প ছেড়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। ক্যাম্প ছেড়ে রোহিঙ্গাদের পালানো রোধে সীমিতসংখ্যক চেকপোস্ট থাকলেও তা দিয়ে তাদের কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না।
এদিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বক্তব্য, আশ্রিত রোহিঙ্গাদের অনুপাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কম। রোহিঙ্গাদের ভাষা, চালচলন, পোশাক-পরিচ্ছদ, আচার-আচরণ স্থানীয়দের সঙ্গে অনেক মিল। যার কারণে রোহিঙ্গারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কৌশলে ক্যাম্প ত্যাগ করছে।
আর এমন পরিস্থিতিতে আক ১২ জুন বুধবার সকালে উখিয়া সদর ষ্টেশন এলাকায় পুলিশ গাড়ি তল্লাশি চালিয়ে ২৫ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে বলে উখিয়া থানার ওসি মো. আবুল খায়ের জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, কাজের সন্ধানে রোহিঙ্গারা বেরিয়ে পড়ছিল বলে পুলিশকে আটক রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন। ওইসব আটক রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পভিত্তিক মাঝিদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এদিকে রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, এনজিও কর্তৃপক্ষের দেওয়া সহায়তায় ভরণ-পোষণের চাহিদা না মেটার কারণে তারা কাজের সন্ধানে ক্যাম্প ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে।
এ সময় আটক রোহিঙ্গা কলিম উল্লাহ জানান, ৭ সদস্য নিয়ে তার পরিবার। খাদ্য সহায়তা কম দেওয়ায় খাওয়া দাওয়া ঠিকভাবে খেতে পারছেন না। এ জন্য কাজের সন্ধানে কুতুপালং ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
এর আগে গত ২০১৭ সালের গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা ক্যাম্পে হামলার জেরে সেনাবাহিনী ও বিজিপি সদস্যরা রোহিঙ্গাদের গণহারে গ্রেফতার, নির্যাতন ও ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়ে শুরু করে। এরপর থেকে কক্সবাজার দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে রোহিঙ্গারা।
এ সময় রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, তাদের আত্মীয়-স্বজন চট্টগ্রামের হালিশহর, পাথরঘাটা, বাকলিয়া, কক্সবাজার, রামু এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছে দীর্ঘদিন ধরে। আশা ছিল তাদের বাড়িঘরে আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন শিল্প-কারখানা ও গার্মেন্টসে চাকরির চেষ্টা করবে।
এদিকে গত ২ দফায় উখিয়া থানা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে মালয়েশিয়াগামী আরো ২৫ রোহিঙ্গা নারী পুরুষকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গারা যাতে ক্যাম্প থেকে পালাতে না পারে সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।