নিউজ ডেস্ক : প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত এবং বাধাগ্রস্থ করতে রোহিঙ্গারা একের পর এক দাবি উত্থাপন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে পূর্ণ নাগরিকত্ব, রোহিঙ্গা মর্যাদা, রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষী মোতায়েনের পাশাপাশি মিয়ানমারের আইডিএফ ক্যাম্পে থাকা ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে মুক্ত করে দেয়ার নতুন দাবি উঠেছে। এসব দাবি না মানলে নিজ দেশে ফিরে যেতে রাজি নয় তারা।
দাবির কোনো শেষ নেই কক্সবাজারের টেকনাফ এবং উখিয়ার বিস্তৃর্ণ পাহাড়ি এলাকায় অবস্থান নেয়া ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাদের। কখনো দু’দফা, কখনো চার দফা। আবার কখনো পাঁচ থেকে সাত দফা। নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে এভাবেই বাড়িয়ে চলেছে তাদের দাবির সংখ্যা।
রোহিঙ্গারা বলছেন, আমাদের নাগরিকত্ব দিলে ও বাড়ি-ঘর ফিরিয়ে দিলে আমরা ফিরে যাবো। আমরা বিচার পাওয়ার জন্য এখানে এসেছি, আমাদের জোর করে ওখানে পাঠাবেন না।
মিয়ানমারের সং'ঘাতপূর্ণ রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মোতায়েন করার পাশাপাশি তারা নতুন করে আরো কয়েকটি দাবি তুলেছে। এর মধ্যে মিয়ানমারের আকিয়াব এবং ইয়াঙ্গুন প্রদেশের তিনটি ক্যাম্পে থাকা ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে মুক্তভাবে চলাচলের সুযোগ করে দেয়ার দাবি জানিয়েছে।
মূলত মিয়ানমারে ফেরত না যেতে রোহিঙ্গারা অযৌক্তিক এসব দাবি তুলে ধরছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আয়াছুর রহমান বলেন, এসব দাবি রোহিঙ্গাদের জানা ছিল না। কিছু দাতা সংস্থা, এনজিও ও স্থানীয় কুচক্রি মহল তাদের এসব শিখিয়ে দিচ্ছে।
সুজনের কক্সবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বলেন, তারা এখানে যে সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে, ফ্রি খাবার, রেশন সুবিধা; এসব কারণে তারা অযুহাত সৃষ্টি করছে যাতে তাদের ফেরত যেতে না হয়।