কক্সবাজার: কিছুদিন আগেই রোহিঙ্গা হবার কারণে শিক্ষার্থী রহিমা আক্তার খুশির পড়াশুনার পথ বন্ধ করে দিয়েছে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে বহিষ্কার করা হয়। এবার একই ঘটনার শি'কার হতে যাচ্ছে খুশির ছোট বোন সেলিনা আক্তার।
সেলিনাকে এবার কক্সবাজার পৌর বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।
আব্দুল আজিজ ও মনিরা বেগম দম্পতির ছোটো মেয়ে সেলিনা স্থানীয় ওই বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। গত ১১ সেপ্টেম্বর মেয়রের নির্দেশে প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম সেলিনাকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করেন।
এ বিষয়ে কথা কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবর রহমান জানান, রোহিঙ্গাদের এ দেশে শিক্ষার কোনো অনুমতি নেই। সেলিনার মতো আরো কেউ থাকলে তাকেও খুঁজে বের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি সেলিনা বড় বোন খুশির একটি সাক্ষাৎকার প্রচার করে। সাক্ষাৎকারের ওই ভিডিও ভাইরাল হয় এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তার প্রশংসা করা হয়। এর পরই তার আসল পরিচয় প্রকাশ হয়ে পড়ে। আর তার পর গত ৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে বহিষ্কার করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের আগে খুশিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হ'ত্যাসহ নানা হুম'কি দেওয়া হয়। এ ছাড়া গত ৪ জুলাই তাকে অ'পহরণের চেষ্টা হয়। সেখান থেকে পা'লাতে গিয়ে তিনি আহ'ত হন। পরে কক্সবাজারের ফুয়াদ আল-খতিব হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
জীবনের ভ'য়ে বর্তমানে খুশি লুকিয়ে আছেন। পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরা জানিয়েছেন, হ'ত্যার হু'মকির কারণে তিনি মানসিকভাবে আঘা'ত পেয়েছেন।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে- কর্তৃপক্ষের একটি সিদ্ধান্তের কারণে কি এভাবেই খুশির স্বপ্নের অকাল মৃ'ত্যু ঘটবে।
রোহিঙ্গাপোস্ট ডটকম বলছে, কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে জন্ম ও বেড়ে উঠলেও খুশি বেশ উদ্যমী তরুণী, যিনি বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের জন্য একটি সম্ভাবনা।
নিজের একডেমিক ক্যারিয়ারের বাইরে বেশ কিছু সামাজিক ও শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত খুশি। যার উদ্দেশ্য নারী ও শিশুদের শিক্ষিত করে প্রতিষ্ঠিত করা, বিজ্ঞান-প্রযু্ক্তির ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করা এবং তার রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের অধিকার আদায়ে প্রচেষ্টা চালানো।
শিক্ষার পাশাপাশি খুশি মার্কী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য, প্রথম আলো বন্ধুসভার অর্থসচিব, নারীর ক্ষমতায়ন সংক্রান্ত সংস্থা দিভাসের প্রধান নির্বাহী অফিসার এবং পৌর প্রিপারেটরি আইসিটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক।