কক্সবাজার: পোকার আ'ক্রমনে টেকনাফে একটি ভিটের বেশকটি গাছের কাঁচা পাতা ন'ষ্ট হতে চলেছে। দেখতে অনেকটার পঙ্গপালের মত শত শত পোকা দল বেঁ'ধে গাছের পাতা ও শাখায় বসে একের পর এক গাছের পাতা খে'য়ে ফেলছে। এতে উদ্বি'গ্ন হয়ে পড়েছেন ভিটের মালিক টেকনাফের লম্বারী পাড়ার সোহেল সিকদার।
তিনি বলেন, গত ১৮ এপ্রিল বিকেলে হঠাৎ করে আমার বাগানের কিছু গাছে পোকা দেখতে পায়। পোকাগুলো গাছের পাতা নিমে'ষেই শেষ করে দিচ্ছে। এই পোকা আগে কোনদিনও দেখিনি। তারপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও আপলোড করি। এরপর গত ২২ এপ্রিল পোকাগুলো দেখতে ছু'টে আসেন টেকনাফ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। পরে কৃষি কর্মকর্তা পোকাগুলো পর্যবেক্ষণ করে রি'পক'র্ড কী'টনাশ'ক ব্যবহার করে মে'রে ফেলে।
সোহেল সিকদার বলেন, কী'টনাশ'ক ব্যবহার করার পর পোকা কিছুটা কমে গিয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন পর আবারও পোকাগুলো বে'ড়ে গেছে। এখন ১৫টির মতো গাছে এ পোকা আ'ক্র'মণ করেছে।
এ বিষয়টি আবারও কৃষি কর্মকর্তা মো. শফিউল আলমকে জানানো হয়। এরপর তিনি বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে এসে আবারও কী'টনাশ'ক ব্যবহার করে মে'রে ফেলেছেন। তবে এখন আর ওই পোকাগুলো দেখা যাচ্ছে না। আবারও যদি এই পোকা আ'ক্র'মণ করে এটা নিয়ে আত'ঙ্কে আছি।
টেকনাফ উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম বলেন, পোকার বিষয়টি জানার পর দ্রু'ত ওই বাড়িতে ছু'টে যায়। দেখি কালো আকৃতির কিছু পোকা লা'ফিয়ে লা'ফিয়ে গাছে উঠছে এবং পাতা খে'য়ে ফেলছে। পরবর্তীতে কী'টনাশ'ক ব্যবহার করে পোকাগুলো মে'রে ফেলি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহি'ত করি।
তিনি আরও বলেন, সোহেল সিকদার বাড়ির আশপাশের এলাকা খুবই নোং'রা। পোকাগুলো প্রথমে কী'টনাশ'ক ছি'টিয়ে মে'রে ফেললেও অনেক পোকা থেকে যায়। যা পরবর্তীতে আবারও গাছে আ'ক্রমণ করে। তারপর বিষয়টি জেলা কৃষি কর্মকর্তাকে জানানো পর তিনি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং কিছু নমু'না সংগ্রহ করে নিয়ে যান।
এরপর বৃহস্পতিবার আবারও ওই বাড়িতে গিয়ে প্রায় ৯৮ শতাংশ পোকা কী'টনাশ'ক ছি'টিয়ে ধ্বং'স করে দিয়েছি। তবে এটি পঙ্গপাল নয়; পঙ্গপাল তো উড়তে পারে, পাখাও রয়েছে। কিন্তু এ পোকাতে কোন পাখা নেই এবং উড়তেও পারে না। এটি কালো আকৃতির পোকা।
কক্সবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর উপ-পরিচালক মো. আবুল কাশেম বলেন, টেকনাফের যে পোকাটি দেখা গেছে এটির নমু'না সংগ্রহ করা হয়েছে। এরপরও পোকাটি ভিডিও করে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণার বিজ্ঞানী বারী কাছে পাঠিয়েছিলাম। এইমাত্র তিনি ফোনে জানিয়েছেন, এটা মরুভূমির যে পঙ্গপাল সে পঙ্গপাল না। এটা ঘাস ফড়িংয়ের একটি প্রজাতি হতে পারে। তারপরও পোকাটির নমুনা বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই পোকা তো পাখা নেই উড়তে পারে না এবং পোকাটি ছোট, নরম ও ছোট ঘাস ফড়িং এর মতো। মরুভূমির যে পঙ্গপাল এটির আকার তো বড় চিংড়ি সমান। কিন্তু এটা তো কোনোভাবে ওই আকৃতির না। সূত্র : সময় নিউজ