কক্সবাজার : ঘূর্ণিঝড় আম্ফানপরবর্তী সময়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে কক্সবাজারে দুর্গত ও করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন অসহায় মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী এবং কাঁচাবাজারের চাহিদা পূরণ করতে সেনাবাজার ও ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা-১১টা পর্যন্ত বাজারটির আয়োজন করা হয়।
কক্সবাজার জেলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাজারের আয়োজন করা হয় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে। সেনাবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী যেমন চাল, আটা, তৈল, লবণ, ডাল এবং বিভিন্ন ধরনের সবজি এক হাজার পরিবারের মধ্যে বিনামূল্যে সরবরাহ করা য়েছে। সেই সাথে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ দেওয়া হয়েছে প্রায় ২০০ জনকে।
লকডাউন ও সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাতের কারণে এ অঞ্চলের যে সকল প্রান্তিক কৃষকরা তাদের উৎপাদিত সবজি বাজারে বিক্রি করতে পারছে না, সেনা সদস্যরা সরাসরি সেসব কৃষকদের নিকট থেকে সবজি ক্রয় করে এই বাজারে নিয়ে আসেন। ফলে অসহায় মানুষদের পাশাপাশি কৃষকরাও তাদের সবজির ন্যায্যমূল্য পেয়ে উপকৃত হয়েছেন। এ ছাড়াও ঈদের ঠিক আগমুহূর্তে এ ধরনের মহতী কাজের উদ্যোগ অসহায় মানুষের জন্য যেমন ঈদের বোনাসের মতো তেমনি কৃষকদের জন্যও ঈদের উপহার বলে সুধী মহলের অভিমত।
কক্সবাজার জেলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা যায়, সেনাবাহিনীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বাজারের প্রবেশপথে ছিল জীবাণুনাশক বুথ ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থা। প্রকৃত অভাবী মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় বাজার কোনোপ্রকার ঝামেলা ছাড়াই সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সংগ্রহ করেছেন।
রামু সেনানিবাসে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক দিক-নির্দেশনায় সেনাবাহিনী প্রধানের নেতৃত্বে অসহায় এবং প্রান্তিক আয়ের মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করার জন্য রামু সেনানিবাসের তত্ত্বাবধানে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। অদূর ভবিষ্যতে উপজেলা পর্যায়েও এ ধরনের বাজারের আয়োজন করা হবে বলে জানা যায়। সম্পূর্ণ অনাড়ম্বর ও ব্যতিক্রমধর্মী এই আয়োজন উপলক্ষে রামু সেনানিবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ ও সেনাসদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।