কক্সবাজার থেকে : মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় সাবেক ওসি প্রদীপ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আর তাদের সহযোগিতা করার অপরাধে ছয়জনকে যাবজ্জীবন এবং অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সাতজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকেলে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ আদেশ দেন। ওসি প্রদীপ দাশ ও লিয়াকত আলীকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে রাখা হয়েছে। শহরের বাইপাস সড়কের উত্তরে অবস্থিত এ কারাগারটি। ৫৬০ জন ধারণ ক্ষমতার এ কারাগারে বর্তমানে কয়েদি আছেন সাড়ে চার হাজারের মত। এ কারাগারেই রাখা হয়েছে তাদেরকে।
রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি প্রদীপ ও লিয়াকত ছিলেন একদম চুপচাপ। আদালত থেকে কারাগারে ফেরার পথেও তারা কোনো কথা বলেননি। এরপর কারাগারের দুটি আলাদা কনডেম সেলে রাখা হয় তাদের। একজন কারা কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তারা দুজন একেবারেই চুপচাপ, কারও সঙ্গে কথা বলছেন না।
কারা সূত্রে জানা গেছে, অন্য কয়েদিদের মতো প্রদীপ ও লিয়াকতকে পরানো হয়েছে কারা পোশাক। এরপর তাদের পৃথক দুটি কনডেম সেলে পাঠানো হয়। কারাগারের অন্য বন্দীদের মতো তাদের খেতে দেওয়া হয় সাদা ভাত, মাছ ও সবজি। অন্য সেলের তুলনায় কনডেম সেল আকারে ছোট। সেলের ভেতর আলো-বাতাস তেমন থাকে না। তবে দিনের নির্দিষ্ট সময় আসামিদের সেলের বাইরে হাঁটাচলার সুযোগ দেওয়া হয়। কনডেম সেলের আসামিরা মাসে এক দিন জেলগেটে গিয়ে দর্শনার্থীদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক (জেল সুপার) মো. নেচার আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রদীপ ও লিয়াকত এখন সাধারণ বন্দী। দুজনকে পৃথক দুটি কনডেমড সেলে রাখা হয়েছে। তারা চুপচাপ আছেন। শরীরের অবস্থাও স্বাভাবিক আছে। রাতের খাবার ও সকালের নাশতাও খেয়েছেন দুজন। বাইরের কারও সঙ্গে তাদের দেখা–সাক্ষাৎ হয়নি।
কারাগার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ডের খবর জানতে পারেন অন্য কয়েদিরা। তাদের ফাঁসির রায় শুনে উল্লাস প্রকাশ করেন অনেক কয়েদিই। মৃত্যুদণ্ডের রায় উচ্চতর আদালত থেকে বাতিল না হওয়া পর্যন্ত কনডেম সেলেই থাকতে হবে প্রদীপ ও লিয়াকতকে। সূত্র : সময় টিভি