গাইবান্ধা : গাইবান্ধার চরাঞ্চলে প্রতিবছর নিদিষ্ট একটি সময় ডাকাতির ঘটনা ব্যপক আকার ধারণ করে। বিশেষ করে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনায় পানি বৃদ্ধি পেলেই ডাকাতি বৃদ্ধি পায়। নৌকা নিয়ে এসে বাড়িতে হানা দিয়ে গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি, নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়। পুরো চর এলাকা পানির কারণে তাদের প্রতিরোধ করার কোনও উপায় থাকে না। ফলে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলেই এখানকার মানুষের মধ্যে তৈরি হয় আতঙ্ক।
এ কারণে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড কাজিয়ার চর ও ৩নং ওয়ার্ড লালচামার চরে ২টি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি (টিআর) প্রকল্পের অর্থায়নে এ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়।
স্বেচ্ছাশ্রমে প্রতিদিন এলাকার ৮ থেকে ১২ জনের একটি দল পালাক্রমে টাওয়ারে উঠে পাহারা দেন। তাদের সঙ্গে থাকে সোলার লাইট, হ্যান্ডলাইট, সাইরেন, দূরবীন ও বাঁশি। সাইরেন বেজে উঠলেই গ্রামবাসী ডাকাত প্রতিরোধে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসবেন বলে জানা গেছে।
কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জু মিয়া জানান, গত ৩১ জুলাই সুন্দরগঞ্জ হরিপুর খেয়াঘাটের দক্ষিণে নৌপথে দিন দুপুরেই ডাকাতি সংঘটিত হয়। এছাড়া গত বছরের ২৯ আগস্ট রাতে কাজিয়ারচরে বানভাসী মানুষদের উপর হামলা চালিয়ে ২৩টি গরু ডাকাতি করে নিয়ে যায় একদল সশস্ত্র ডাকাত।
কাপাসিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা লায়েক আলী খান মিন্টু জানান, টাওয়ার বসিয়ে পাহারা দিয়ে বাড়ি-ঘর রক্ষা করা গেলেও নদী পথে চলাচলকারী যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের মালামাল দিনের বেলায় ডাকাতি হলেও প্রতিরোধ করার কোনও সুযোগ নেই। তাই নৌ পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা দরকার।
০৯ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম