সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১০:০১:৫৭

সেপটিক ট্যাংকে গলা কাটা প্রেমিক, আত্মহত্যা প্রেমিকার

সেপটিক ট্যাংকে গলা কাটা প্রেমিক, আত্মহত্যা প্রেমিকার

গাইবান্ধা : বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে নিখোঁজ এক প্রেমিকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রেমের কারণে তাকে খুন করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।  যেদিন তার প্রেমিকা আত্মহত্যা করে সেদিন থেকেই নিখোঁজ হয় প্রেমিক।
 
নিহত যুবকের নাম খলিলুর রহমান (২৬)।  তিনি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহর ইউনিয়নের শক্তিপুর নামাপাড়া গ্রামের অছিমুদ্দিন কবিরাজের ছেলে।
 
স্থানীয়রা জানান, পার্শ্ববর্তী নয়ারহাট পিপুলিয়া গ্রামের ওয়াজেদ আলী ওরফে ওয়াহেদের মেয়ে কোচাশহর শিল্পনগরী কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী আছিয়া আকতার সীমার সঙ্গে খলিলুর রহমানের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
 
দুজনের প্রেমের বিষয়টি জানাজানি হলে সীমার বাবা তাকে শাসন করেন।  পরে সীমা গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিষপানে আত্মহত্যা করেন।
 
এ ঘটনার পরদিন থেকেই নিখোঁজ হন খলিলুর রহমান।  পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পায়নি।
 
সোমবার সকালে ওয়াজেদ আলীর বাড়ির অদূরে একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধের সূত্র ধরে খলিলুরের লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা।  খলিলুরের গলা কাটা ও শরীরে জখমের চিহ্ন রয়েছে।
 
খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার দুপুরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
 
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত সরকার জানান, সীমা আত্মহত্যার জের ধরেই খলিলুরকে হত্যা করে লাশ গুমের চেষ্টা করা হয়েছে।
 
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ওয়াজেদ আলীর স্ত্রী হাওয়া বেগমকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
 
এদিকে লাশ উদ্ধারের পর ক্ষুব্ধ স্বজন এবং এলাকাবাসী সন্দেহভাজন সীমার বাবা ওয়াজেদ আলীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়।  

এতে বাড়ি-ঘরসহ সব পুড়ে যায়।  ফায়ার সার্ভিস গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও কোনো মালামাল রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
১৯ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে