মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:৫১:০০

গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি সমানে সমান

গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি সমানে সমান

সিদ্দিক আলম দয়াল, গাইবান্ধা থেকে : গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি সমানে-সমান। এ উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৪ আসন। আগামী বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর সেই নির্বাচন নিয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীরা জেগে উঠেছেন। যাচ্ছেন ভোটারদের কাছে। নেতাকর্মীদের নিয়ে করছেন বৈঠক।

নানা অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা রয়েছেন এগিয়ে। তবে বসে নেই বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যার্শীরাও। এ আসনের বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। গোটা গোবিন্দগঞ্জেই রয়েছে তার নিজস্ব নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি বলয়। এমপি নির্বাচিত হয়ে এ থানার সড়ক যোগাযোগে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি কোন অন্যায় করি না। নির্বাচনের পর থেকেই আমার অবস্থান ঠিক রাখতে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছি। গোবিন্দগঞ্জের অলিগলি রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করেছি। দল গুছিয়ে নিয়ে মাঠেই রাজনীতি করি মানুষ কে নিয়ে । সে কারণে আমি মনে করি দলের স্বার্থেই আমাকে মনোনয়ন দেয়া উচিত এবং আমিই মনোনয়ন পাবো। আর মনোনয়ন পেলে নৌকার সম্মান কিভাবে বজায় রাখতে হয় তা আমি করবো।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগ থেকে আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক এমপি প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী। ভালো মানুষ এবং অমায়িক ব্যবহারের কারণে এলাকায় বেশ সুনাম রয়েছে তার। আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে এলজিইডি’র সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী নবম সংসদ নির্বাচনে এবং অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন। দশম সংসদ নির্বাচনে অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোয়ার হোসেন চৌধুরীকে পরাজিত করেন। পরে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিও নির্বাচিত হন।

এছাড়াও যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র আতাউর রহমান সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিমাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ প্রধান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় পাট ও বস্ত্র বিষয়ক সম্পাদক নামজুল ইসলাম লিটন। ভেতরে ভেতরে ঠাণ্ডা লড়াই থাকলেও মনোনয়ন প্রার্থী নেতারা সকলেই বলছেন, তারা  সকলেই দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন।

এই আসনে বিএনপি’র উল্লেখযোগ্য জনসমর্থন রয়েছে। প্রয়াত সংসদ সদস্য আবদুল মোত্তালেব আকন্দ বিএনপিকে গোবিন্দগঞ্জ আসনে শক্ত গণভিত্তি গড়েছেন। পরবর্তীতে বিএনপি স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে ভালো ফলাফল অর্জন করে। এই আসনে বিএনপি’র হয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া প্রার্থীর সংখ্যাও কম না।

আবদুল মোত্তালেব আকন্দের ছেলে সাবেক সংসদ সদস্য শামীম কায়সার লিংকন, উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবদুল মান্নান মণ্ডল, উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক কবির আহমেদ, পৌর বিএনপি’র সভাপতি ফারুক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আলতাব হোসেন পাতা’র নামও রয়েছে বিএনপি’র প্রার্থী তালিকায়।

অন্যদিকে জামায়াতের জেলা আমীর ডা. মো. আবদুর রহিম সরকার নির্বাচন করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। আর জাতীয় পার্টির (জেপি) থেকে প্রার্থী হতে পারেন সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফর রহমান চৌধুরী। সব মিলিয়ে গোবিন্দগঞ্জে আগামী নির্বাচন জমে উঠবে বলে মনে করছেন ভোটাররা। আর সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ আর বিএনপি’র মধ্যেই হবে লড়াই। -এমজমিন

এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে