গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে স্ত্রী পরিচয়ে নেয়া ভাড়া বাসায় অনৈ'তিক কাজের অভিযোগে মানিক চন্দ্র কর্মকার ও এক কলেজ ছাত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) মধ্য রাতে সুন্দরগঞ্জ পৌর শহরের মাস্টারপাড়ার জনৈক আব্দুল আউয়ালের বাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত মানিক চন্দ্র কর্মকার উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নে পূর্ব রামজীবন (নিজপাড়া) গ্রামের মন্টুরাম কর্মকারের পুত্র। মানিক পেশায় দর্জি। সে স্থানীয় ডোমেরহাট বাজারে দর্জির কাজ করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় ডিডব্লিউ সরকারি কলেজের ওই ছাত্রী মানিক চন্দ্রের দোকানে জামা-কাপড় তৈরি করতে মাঝে মাঝে যেত। এ সময় নানা কৌ'শলে তাকে অসমা'জিক কাজ করতে বা'ধ্য করে মানিক। পরে দীর্ঘদিন ধরে পৌর এলাকার বিভিন্ন মহল্লায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে তারা অনৈ'তিক কাজ করত। তারা ২-১ মাস পরপর ভিন্ন ভিন্ন পরিচয়ে বাসা পরিবর্তন করত। তাদের বয়সের ব্যবধানসহ বিভিন্ন কারণে সন্দে'হ হওয়ায় স্বামী-স্ত্রীর প্রমাণ দেখতে চাইলে এলাকাবাসির সঙ্গে ঝগ'ড়া করতো।
পরে জানা যায় মানিক চন্দ্র কর্মকার প্রভাবশালী হওয়ায় ওই ছাত্রীর পরিবার নিরবে সব স'হ্য করলেও তাদের পক্ষ থেকে কোনো মামলা করার সাহ'স পায়নি। মানিক চন্দ্রের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। সে তিন বছর আগে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন।
সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ- এসএম আব্দুস সোবহান জানান, এ ব্যাপারে থানার এসআই সামছুল হক বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। আসমিদের শুক্রবার বিকেলে গাইবান্ধা আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।